পুনরাবৃত্তি
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
১২/১১/২০১৪
পুনরাবৃত্তি, পুনরাবৃত্তি, পুনরাবৃত্তি। বিষন্ন বাক্সের শেষ চাবিটা হারিয়ে গেছে। আলো আর বাতাস এসে মৃদু শিহরন জাগায়না আজ। শুধু মিথ্যে আশার স্বপ্নময় আভাস- হয়তো চাবিটি খুঁজে পাওয়া যাবে। নাগরিক কোলাহলে হাজারো বস্তু মানুষের ভীড়ে সব কিছু ভীষণমাত্রায় গতিশীল। আমি যেন ফ্রেমে বাধাঁ, সেলুলয়েডের পারফরেশনের মাঝে কিছু কালো ছায়া। অস্তিত্ব আছে কিন্তু দেখা যায়না। সময়ের ¯্রােতে হারিয়ে যাই। হয়তো কোনো ডিজিটাল যন্ত্রের চোখে কিংবা আধুনিকতার চোখে অনুভব করবে আমার অস্তিত্ব। দেখা যাবে আলোর ভীড়ে এক ভীষণ অন্ধকারকে। অথবা হারিয়ে যাবো মহাকালের গভের্, এক ছোট্ট বিন্দু কণা। কিংবা জন্ম নেবো নতুন কোনো প্রাণের অস্তিত্বে। হয়তো বেঁচে থাকবো নতুন কিছুর মাঝে। একি বেঁচে থাকা! নাকি মৃত্যু।
ভীষণ জানতে ইচ্ছে করে ‘মৃত্যু কি’?
এভাবে যদি ফিরে আসা যেত!
তবে হয়তো শান্তি পেতাম কিংবা আরো অস্থির হয়ে উঠতাম।
জন্ম থেকে যার নাম শুনে আসা- তার সাথে দেখা হতো, আলাপ করা যেত। দেখতে ইচ্ছে করে তোমাকে এবং তাকে এবং তাকে। সবারই অস্তিত্ব আছে আমার কাছে কিন্তু আমি কাউকে দেখতে পাইনা। কেউ আমার অস্তিত্ব অনুভব করেনা।
চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে কেউ কি এসেছিল?
তোমার সাথে এবং তাহার সাথে আমার অনেক আলাপ জমে আছে। এসো আমরা অলোচনায় রত হই। দেখা না হোক অন্তত তরঙ্গের মাঝে আলাপ হোক।
আচ্ছা তুমি কি আমার ভাষা বুঝতে পারবে! কি ছেলেমানুষি না?
তোমারতো বোঝার কথা। তবু মনে হয়, হয়তো তুমি আমার কথা বুঝতে পারবেনা। কিংবা তোমার সময় নেই, প্রয়োজনও নেই। কিন্তু পিক্সেল- এরতো কিছু কথা থাকতে পারে। পিক্সেল এবং পিক্সেল। জীবনেরই হয়তো অন্যরুপ।
কি আশ্চর্য্য!
আমি হয়তো বিবর্তিত হই সময়ের সাথে সাথে। সময় হয়তো আমাকে ঠিকই খুঁজে নেবে। কিন্তু তখন আর আমি থাকবো না। কিন্তু বেঁচে থাকবে আমার অস্তিত্ব- আমার রাগ, ক্ষোভ, ভালবাসা, হতাশা, স্বপ্ন এবং দর্শন। সেগুলো হয়তো বিবর্তিত হয়ে জন্ম নেবে অথবা হারিয়ে যাবে। বেঁচে থাকুক, বিবর্তিত হোক কিংবা হারিয়ে যাক, কিছুতেই আমার কিছু এসে যাইনা। আমি আছি শুধু আমার বর্তমান নিয়ে। বর্তমান বেড়ে বেড়ে অতীতে পরিণত হয়। বর্তমান এক মুহূর্ত, ঠিক যেন শিশির কণা সূর্যের আলো এসে পড়লেই তার মৃত্যু।
তবুও হয়তো বর্তমান ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করে। ক্ষতবিক্ষত করে তোলে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎকে।