মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৪

জীবন অনুভবে

জীবন অনুভবে
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম

বহুদিন পর একটা কবিতা লেখা হল
সেই কবিতায় কিছু বাক্য জড়িয়ে গেল
কবিতাও আজ সম্পূর্ণ আশ্রয় দিতে পারেনা
তবে-
শিল্পের কোন শাখায় মানুষ তার সম্পূর্ণতাকে আবিষ্কার করতে পেরেছে?
কখনো মনে হয় এইতো আমি
পরক্ষণেই আবার মিলিয়ে যাই।
খন্ডতাকে হয়তো ছোঁয়া যাই
কিন্তু অখন্ডকে কিছুতেই নয়
আমি আমরা প্রতিনিয়ত...
তবে কোথায়?
আজো চিরচেনা মাধ্যমের অচেনা ব্যবহার নিজেকে আপ্লুত করে।
তবে !
খুঁজে বেড়াই কখনো অবিরত,
সম্পূর্ণতাকে ছোঁয়ার অভিলাষে।
তুমিও  কি?
তবে চলো একসাথে
খুঁজে ফিরি জীবন।

রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৪

হারানোর কষ্ট

হারানোর কষ্ট
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
০৬/১২/২০১৪, আদাবর, ঢাকা

একটি কবিতা হারিয়ে গেল
মুহূর্তের অসাবধানতায় নাকি ভাগ্যের নির্মমতায়
তবু তোমাকে ভালবাসি..
হয়তো খুঁজে পাবো হাজারো ভীড়ে
নাকি সান্তনা-
হয়তো হারিয়ে গেলে মহাকালের গর্ভে,
হয়তো কিছুই হারায়না-
ফিরে ফিরে আসে নতুন রুপে
কিন্তু তোমাকে আর স্পর্শ করা যাবেনা,
তোমাকে আর দৃষ্টিগোচরে আনা হবেনা
শুধু নামটুকু বয়ে বেড়াব
ভালো থেকো কবিতা।

শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৪

আমার শিল্পচিন্তার পটভূমি

আমার শিল্পচিন্তার পটভূমি
ছবি কেন আঁকি ?
ছবি কেন আঁকি ? এটা হয়তো এক কথায় বলা সম্ভব নয়। জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে এটা উপলব্ধি করতে হয়। সব উপলব্ধি সব সময় সমানভাবে প্রকাশ করা যায়না। কিছু বোধের, কিছু উপলব্ধির, কিছু অনুভবের। অনুভবের স্তরকে হয়তো আলাদা করা যায়, ভাবকে হয়তো নয়। বিষয়গুলো অন্তরজগতে মিলেমিশে একাকার হয়ে থাকে।
    আমরা সব সময় একটা দেশ (space) ও সময় (Time) - এ অবস্থান করি । আমাদের অন্তরজগতও তাই। সময় ও দেশের মধ্যে কখনো সখ্য কখনো বা দ্বন্দ¦ প্রতিয়মান হয়।
“আমি,
আমার মন
ঘুরছে সারাক্ষণ
আবেগ অনুভূতিতে নিত্যক্ষণ।”
মাঝে মাঝে বোধের একান্ত জগতে প্রবেশ করে কিছু বস্তু, কিছু কথা, কিছু স্বপ্ন আবার কিছু বাস্তবতা। দুপুরের আলসেমিতে কিংবা বিকেলের শুভ্র স্নিগ্ধ আলোয় আমরা চিন্তামগ্ন হই। আমরা আমাদের অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবি। শুধু ভবিষ্যতটা আমাদের নতুন করে ভাবায়না আমাদের অতীতটাও আমাদের নতুন করে ভাবায়। অতীতের দৃশ্যের সঙ্গে কিছু দৃশ্যকল্প যুক্ত হয়ে আমাদের মস্তিষ্কে প্রায়ই একধরনের সুখানুভূতি ঘটায়। আর ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা আমাদের কল্পনায় ডানা মেলে বহুদুর চলে যেতে পারি। আবেগ আমাদের দৃশ্যমান বিষয়ের সঙ্গে এক ধরনের সম্পর্ক তৈরী করে দেয়। বস্তুর সঙ্গে বস্তুর সম্পর্ক, ব্যক্তির সঙ্গে বস্তুর সম্পর্ক কিংবা ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির সম্পর্ক ইত্যাদি জায়গার ক্ষেত্রে আবেগ আমাদের প্ররোচিত করে। আবেগের তাড়নায় আমরা কখনো খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠি কখনো বা কেঁদে বুক ভাসাই।
    জীবনের পরতে পরতে প্রত্যেকটি মুহূর্ত আমাদের উপলব্ধিতে তরঙ্গ সৃষ্টি করে। আমরা শুধু বস্তুকে বস্তু নয় অন্য কোনভাবেও উপলব্ধি করতে পারি। এই উপলব্ধির বোধ থেকেই হয়তো নতুন কিছুর সৃষ্টি হয়। শিল্পের তাড়না হয়তো এভাবেই জন্ম নেয়। আমাদের উপলব্ধিতে আমরা নতুনের আহবান পাই, সুন্দরের সন্ধান পাই।
প্রকৃতিতে মেঘের মধ্যে প্রায়ই নানা আকার বা ফর্মের সৃষ্টি হয়। বস্তুত মেঘ নিজে নিজে আমাদের উপলব্ধিতে আকার বা ফর্মের সৃষ্টি করে না। তবে মেঘকে উপলক্ষ্য করে বহু ফর্ম আমাদের উপলব্ধিতে ধরা দেয়। কখনো ঘোড়া কখনো কোন মুখ কখনো কোন প্রাণীর অবয়ব। উপলব্ধিতে বিশাল ক্যানভাসে তখন অন্য এক চিত্রকল্প তৈরী হয় যা বাস্তবে নেই কেননা মেঘ মূলতঃ মেঘই। ঘোড়া, মুখ বা অণ্য কিছু নয়। আকাশ হাতছানি দেয় আমাদের অবিরত। আমাদের মনোলোকে বা অনুভূতিতে সবসময় যে এমনটি ঘটে তা নয়। কখনো ব্যস্ততায় এড়িয়ে যাই কখনো ডুবে যাই তার আহবানে।
জীবনানন্দের এই কবিতা আমাদের ভাবিত করে।
“অর্থ নয়, কীর্তি নয়, সচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতর
খেলা করে ; 
আমাদের ক্লান্ত করে
ক্লান্ত-ক্লান্ত করে ;
লাশকাটা ঘরে
সেই ক্লান্তি নাই ;
তাই
লাশকাটা ঘরে
চিৎ হয়ে শুয়ে আছে টেবিলের ’পরে।”
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়ের জন্য হয়তো মানুষের এই শিল্প সাধনা যা আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতর খেলা করে।



বুধবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৪

প্রিয়া


প্রিয়া
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
১/১২/২০১৪

শিউলি ফুল গন্ধ মেলতে শুরু করেছে
আমি খুঁজি প্রিয় ফুল
সাদা স্নিগ্ধ, মাঝে কমলা আভা
পায়নিকো খুঁজে-
যন্ত্রের ঝংকারে কিংবা সুরারোলিত কন্ঠে
কোথায় যেন কিছুর অনুপস্থিতি
কানে নয় হৃদয়ে বাজে,
আমি খুঁজি চারপাশের মানুষের ভীড়ে
প্রিয় শিউলি ফুল।

শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৪

ছবি কথা বলে

ছবি যেন কথা বলে
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
২১/১১/২০১৪

ছবি যেন কথা বলে,
প্রতিনিয়ত
দৃশ্যমান ছবি অথবা অদৃশ্যমান ছবি।
বুকের বামপাশটা চিনচিনে ব্যথা করে উঠে
ছবি কথা বলে
অথবা
অনেক কথা জাগ্রত করে,
যদি পোড়ানো যেত ছবি
তবে ছাইপাশগুলো কথা বলে উঠতো
উফৃ ছবি কথা বলে অথবা
খুব বেশি নীরব থাকে
আমার জমানো কথাগুলো আমাকেই গ্রাস করে
বেড়ে বেড়ে উঠে
শুধুই বেড়ে উঠে
ছবি কথা বলে।

বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৪

পুনরাবৃত্তি

পুনরাবৃত্তি
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম

 ১২/১১/২০১৪

পুনরাবৃত্তি, পুনরাবৃত্তি, পুনরাবৃত্তি। বিষন্ন বাক্সের শেষ চাবিটা হারিয়ে গেছে। আলো আর বাতাস এসে মৃদু শিহরন জাগায়না আজ। শুধু মিথ্যে আশার স্বপ্নময় আভাস- হয়তো চাবিটি খুঁজে পাওয়া যাবে। নাগরিক কোলাহলে হাজারো বস্তু মানুষের ভীড়ে সব কিছু ভীষণমাত্রায় গতিশীল। আমি যেন ফ্রেমে বাধাঁ, সেলুলয়েডের পারফরেশনের মাঝে কিছু কালো ছায়া। অস্তিত্ব আছে কিন্তু দেখা যায়না। সময়ের ¯্রােতে হারিয়ে যাই। হয়তো কোনো ডিজিটাল যন্ত্রের চোখে কিংবা আধুনিকতার চোখে অনুভব করবে আমার অস্তিত্ব। দেখা যাবে আলোর ভীড়ে এক ভীষণ অন্ধকারকে। অথবা হারিয়ে যাবো মহাকালের গভের্, এক ছোট্ট বিন্দু কণা। কিংবা জন্ম নেবো নতুন কোনো প্রাণের অস্তিত্বে। হয়তো বেঁচে থাকবো নতুন কিছুর মাঝে। একি বেঁচে থাকা! নাকি মৃত্যু।

ভীষণ জানতে ইচ্ছে করে ‘মৃত্যু কি’?

এভাবে যদি ফিরে আসা যেত!

তবে হয়তো শান্তি পেতাম কিংবা আরো অস্থির হয়ে উঠতাম।

জন্ম থেকে যার নাম শুনে আসা- তার সাথে দেখা হতো, আলাপ করা যেত। দেখতে ইচ্ছে করে তোমাকে এবং তাকে এবং তাকে। সবারই অস্তিত্ব আছে আমার কাছে কিন্তু আমি কাউকে দেখতে পাইনা। কেউ আমার অস্তিত্ব অনুভব করেনা।

চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে কেউ কি এসেছিল?

তোমার সাথে এবং তাহার সাথে আমার অনেক আলাপ জমে আছে। এসো আমরা অলোচনায় রত হই। দেখা না হোক অন্তত তরঙ্গের মাঝে আলাপ হোক।

আচ্ছা তুমি কি আমার ভাষা বুঝতে পারবে! কি ছেলেমানুষি না?

তোমারতো বোঝার কথা। তবু মনে হয়, হয়তো তুমি আমার কথা বুঝতে পারবেনা। কিংবা তোমার সময় নেই, প্রয়োজনও নেই। কিন্তু পিক্সেল- এরতো কিছু কথা থাকতে পারে। পিক্সেল এবং পিক্সেল। জীবনেরই হয়তো অন্যরুপ।

কি আশ্চর্য্য!

আমি হয়তো বিবর্তিত হই সময়ের সাথে সাথে। সময় হয়তো আমাকে ঠিকই খুঁজে নেবে। কিন্তু তখন আর আমি থাকবো না। কিন্তু বেঁচে থাকবে আমার অস্তিত্ব- আমার রাগ, ক্ষোভ, ভালবাসা, হতাশা, স্বপ্ন এবং দর্শন। সেগুলো হয়তো বিবর্তিত হয়ে জন্ম নেবে অথবা হারিয়ে যাবে। বেঁচে থাকুক, বিবর্তিত হোক কিংবা হারিয়ে যাক, কিছুতেই আমার কিছু এসে যাইনা। আমি আছি শুধু আমার বর্তমান নিয়ে। বর্তমান বেড়ে বেড়ে অতীতে পরিণত হয়। বর্তমান এক মুহূর্ত, ঠিক যেন শিশির কণা সূর্যের আলো এসে পড়লেই তার মৃত্যু।

তবুও হয়তো বর্তমান ভবিষ্যৎকে প্রভাবিত করে। ক্ষতবিক্ষত করে তোলে অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎকে।

মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৪

চারুকলার নতুন শিক্ষকদের প্রতি


চারুকলার নতুন শিক্ষকদের প্রতি

ফরহাদ উদ্দিন মাসুম

   

       আমি অনেক স্বপ্ন নিয়ে চারুকলায় ভর্তি হয়েছিলাম। প্রতিটি শিক্ষার্থীই আমার মতো স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি হয়। একেকজনের স্বপ্নের রং একেকরকম। কিন্তু সবাই স্বপ্ন নিয়ে আসে শিল্পী হবে। দু একজন ব্যতিক্রম আছে। তাদের কেউ শিক্ষক, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ ডিজাইনার, কেউ রাজনীতিবিদ ইত্যাদি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে চারুকলায় ভর্তি হয়। যারা শুধুমাত্র শিল্পী হওয়ার বাসনা নিয়ে চারুকলায় ভর্তি হয় তাদের বেশীরভাগকে হতাশ হতে হয় বিভিন্ন কারনে। অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, প্রাতিষ্ঠানিক, অসচেতনতা বিভিন্ন কারনে শিল্পী হওয়া আর হয়ে উঠেনা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যক্তি, সমাজ, এমনকি রাষ্ট্র। রাষ্ট্র যেখানে প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে এইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পিছনে এমনকি শৈল্পিক চর্চার পিছনে। যদিও আমরা বলি আরো অনেক প্রয়োজন সরকারি সহযোগিতা। কথাটি ঠিক কিন্তু এই গরিব দেশে কতইবা অর্থ দেওয়া যেতে পারে এই খাতে। যেখানে প্রচুর মানুষ মৌলিক চাহিদা মেটাতে হিমশিম। এখনো দারিদ্রসীমার নীচে বাস করছে অনেক মানুষ। সেখানে শিল্প কখনো কখনো বিলাসিতা মনে হয়। তারপরও আমাদের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পিছনে সরকার প্রচুর অর্থ ব্যয় করছে। আমরা যারা এইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ছি বা পড়েছি তারা অনেক ঋনী সেইসব মানুষদের প্রতি যাদের করের টাকায় আমরা পড়েছি। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ফসল ফলে সেইসব মানুষদের প্রতিও আমরা ঋনী। আমাদের অবকাঠামো এখনো গড়ে উঠেনি নির্ভার হয়ে শিল্পচর্চার জন্যে। তাই অনেকেই বিকল্প পেশা বেছে নেয়।  সত্যিকার অর্থে আমাদের এই রাষ্ট্রের ধারণক্ষমতা নেই অনেক শিল্পী বেড়ে উঠার জন্য।

      শিল্পী হতে হলে প্রথমে ভালো মানুষ হওয়াটা জরুরি। শিল্পী যদি দূষিত হয় তার শিল্পকর্মও দূষিত হয়। সেই শিল্পকর্ম তখন দেশ দশের কোনো কাজে আসেনা। তাই শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহযোগিতা করতে পারেন শিক্ষকরা। উপনৈবিশিক আমলে চারুশিল্প শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে। এখন সেই সব কারন ফুরিয়েছে। তাই সময় এসেছে শিল্প শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাদান পদ্ধতি নিয়ে ভাবার। দু:খের বিষয় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সময়ের সিলেবাস এখনো বিদ্যমান অথচ সময় বদলেছে। পৃথিবীর মাটি যেমন বদলেছে বদলেছে তেমনি পৃথিবীর আকাশ। মানুষের মনের রং, রুচি চাহিদা সবকিছুতে পরিবর্তন এসেছে। দক্ষতার চেয়ে ধারনা এখন বেশী গুরুত্ব পায়। বিশ্বব্যাপী ভিডিও টিউটোরিয়ালের কারনে এখন ঘরে বসেই শিক্ষার্থীরা শিখতে পারছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন ? শিক্ষকের কাছে কি প্রত্যাশা শিক্ষার্থীদের ? কেন শিক্ষার্থী নিয়মিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাবে ? তাদের কিভাবে শিক্ষাদান করতে হবে ? এইসব প্রশ্নের উত্তর শিক্ষককে বের করে সমাধান করতে হবে।

      

       আমি হতাশ হয়েছি আমাদের সময়ের শিক্ষকদের পেয়ে। আমি তাদের মতো হতে পারিনি, না তারা আমাদের মন মতো হতে পারেননি। প্রশ্নটি সময়ের কাছে রইলো। কিন্তু শিক্ষকদের শিক্ষাদান পদ্ধতি অনেক বেশী একঘেয়েমি পূর্ণ ছিল এই কথা আমি স্পষ্টভাবে বলতে পারি। আমার যেখানে দূর্বলতা, যেখানে আমার মনোযোগ দেওয়া উচিত কিংবা আমার কোন দিক বজায় রাখা উচিত সবকিছুই কেমন ধোঁয়াশা ছিল। আমি শিক্ষকদের ভালো দিক গুলো গ্রহণ করতে পারিনি। ভালো কিংবা মন্দ দুটোর পার্থক্য কি আমার শিক্ষকরা ধরিয়ে দেননি। শিল্প কি ? জীবন কি ? কখনো শিক্ষকদের কাছে এর উত্তর পায়নি। তাই প্রতিনিয়ত জীবনের মানে খুঁজে ফিরছি। শিল্পের মানে খূঁজছি। হয়তো আজন্ম খুঁজে ফিরতে হবে। কারন আমার শিক্ষা যে অপরিপূর্ণ রয়ে আছে। তাই নতুন শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ শিক্ষার্থীদের তাদের নিজেদের পথ খুঁজে পেতে সহযোগিতা করুন। জয় হোক মানবতার, জয় হোক শিল্পের।