সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫

বৈশাখ এবং বিভেদের রাজনীতি


বৈশাখকে জনমানুষের হতে না দেওয়ার জন্য প্রথম অপরাধী হলো আওয়ামী বুদ্ধিজীবিরা। তারা চেয়েছে বৈশাখ দিয়ে রাজনীতি করতে, সমাজে বিভেদ তৈরি করতে। তারা সেটাতে সফলও হয়েছে। ব্রিটিশ সময়ে যেমন হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা লাগিয়ে ক্ষমতার মসনদ পাকা রাখা হতো ঠিক একই কায়দায় আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িক কার্ড খেলে সংস্কৃতিকে কুক্ষিগত করে রেখেছিল। অথচ সংস্কৃতি বহমান নদীর মত। শত বছর, হাজার বছর ধরে এটি বয়ে চলে। আমি, আমরা খুব সহজে হয়তো হারিয়ে যাই কিন্তু সংস্কৃতি যুগ যুগ ধরে টিকে থাকে। এটি আমাদের অস্তিত্ব। আমার অনুপস্থিতির পরও আমার এক ধরনের উপস্থিতি বিদ্যমান। এই সংস্কৃতিতে আমরা অনুভব করতে পারি আমাদের পূর্বপুরুষদের, অনুভব করতে পারি জীবনকে, অনুভব করতে পারি আমাদের চারপাশের মানুষকে।

অনেকে তুলনা করেন কিংবা মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেন সংস্কৃতি না ধর্ম। আসলে এভাবে না ভাবলেই বোধহয় আমাদের জন্য মঙ্গলকর। ধর্ম স্রষ্টার সাথে তাঁর সৃষ্টির সম্পর্ক। আর সংস্কৃতি আমাদের নিত্য জীবনের বেড়ে উঠা গল্প। এখানে ধর্মও থাকতে পারে কোনো বাধা নেই। জীবনে অনেক পরত থাকে। অনুভব করে করে সেটা উপলব্ধি করতে হয়। কেউ হয়তো ধর্ম দিয়ে উপলব্ধি করে কেউ হয়তো সংস্কৃতি দিয়ে উপলব্ধি করে কেউ বা দুটো মিলে মিশে একাকার। তবে স্রষ্টাকে জানতে চাওয়া, তাঁর সৃষ্টিকে জানতে চাওয়া এই কৌতুহল মানুষের চিরন্তন। এই কৌতুহল থেকেই হয়তো ধর্ম, সংস্কৃতি ইত্যাদির প্রচলন বহমান নদীর মত বয়ে চলেছে।

ধূর্ত মানুষেরা তাদের স্বার্থে ধর্ম আর সংস্কৃতিকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। যেমন ধূর্ত লোকেরা তার ধর্ম সেরা বলে পৃথিবী শাসন করতে চেয়েছে তেমনি ধূর্ত লোকেরা তার সংস্কৃতি সেরা বলে পৃথিবী শাসন করতে চেয়েছে। আর এর মধ্যেই লুকিয়ে আছে রাজনীতি-ক্ষমতার মোহ, লোভ, লালসা, শাসন এবং শোষন করার আদিম বাসনা।

সেই আদিকাল থেকেই প্রত্যেকটা জাতির ধর্ম এবং সংস্কৃতি আমরা দেখতে পাই এবং সেটা উত্তর আধুনিক কাল পর্যন্তও বিস্তৃত। যেমন আরবদের সংস্কৃতি- তাদের পোশাক, খাদ্যাভ্যাস, সামাজিক আচার ইত্যাদি থেকে ইউরোপিয়ানদের সংস্কৃতি- তাদের পোশাক, খাদ্যাভ্যাস, সামাজিক আচার সম্পূর্ন আলাদা। তাদের ধর্মও আলাদা। আবার আরবদের ধর্ম আর বাঙালী মুসলিমদের ধর্ম এক হলেও সকল ধর্মীয় রীতি নীতি এক নয়, সংস্কৃতিতো একেবারেই আলাদা। আমরা আরবদের কাছ থেকে ধর্ম নিয়েছি কিন্তু পুরোপুরি সংস্কৃতি নেয়নি। আবার আমরা পশ্চিমের কিছু সংস্কৃতি নিয়েছি কিন্তু তাদের ধর্ম নেয়নি। বিদায় হজ্জের পর থেকেইতো আমাদের এখানে ইসলামের আবির্ভাব এবং তারও অনেক পরে অন্য অনেক সংস্কৃতি আমাদের এখনো যুক্ত হয়েছে। এটা ভালো বা খারাপ সেই অর্থে আপাতত যাচ্ছিনা। কিন্তু ইসলাম আসার আগেও আরবে তাদের যেমন কিছু সংস্কৃতি ছিল তেমনি আমাদের এই জনপদে সংস্কৃতি এবং ধর্ম দুটোই ছিল। মানুষ ধর্ম সহজে বদলাতে পারলেও সংস্কৃতি সহজে বদলাতে পারেনা। বদলের প্রয়োজন হয়তো পড়েনা। এটা মানুষের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে মিশে থাকে। একটা কথা আছে- কোনো জাতিকে ধ্বংস করতে চাইলে প্রথমে তার সংস্কৃতি ধ্বংস করে দাও তাহলে সে অর্ধেক শেষ। জাতি হিসেবে আমরা এখনো সংস্কৃতির মূল্যমান বুঝতে শিখছিনা। ধর্ম আর সংস্কৃতিকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়ে ভয়ংকর খেলায় মেতে উঠছি।

আরবের লোকে রুটি খায় আমাদের গ্রামের মানুষ পান্তাভাত খেতে আনন্দ পায়। তিন বেলা ভাত খাওয়ার যে সংস্কৃতি আমাদের এখানে গড়ে উঠেছে তারতো কিছু কারন আছে। কৃষক ফসল ফলায়, ফসল বিক্রি করে, উদ্ধৃত চাল থেকে যায় সেই চাল দিয়ে সে তার ক্ষুধা মেটাই। অনেকেই হয়তো সকালে তরকারি যোগাড় করতে পারতোনা হয়তো লবন দিয়ে সাথে কাচা মরিচ সহ পান্তা ভাত খেয়ে ক্ষেতে কাজ করতে যেত। এখন সেই সংস্কৃতিকে স্মরন করে শহুরে লোকেরা যারা সারা বছর ঘিয়ে ভাজা পরোটা কিংবা আধুনিক স্যান্ডউইচ, বার্গার খেয়ে জীবন ধারন করে সে নববর্ষের দিনে শখ করে পান্তা ভাত খেতে চাইছে। তাতে ক্ষতি কি! হয়তো কখনো সে উপলব্ধি করবে জীবন সহজ নয়।

ফিরে আসি এবারের বৈশাখ নিয়ে। স্বৈরাচার বিদায় নিয়েছে কিন্তু আমাদের মনের ভেতরে যে স্বৈরবৃত্তি বাস করে তা কি আমরা দূর করতে পারছি? এবার একটা খুব বড় সম্ভাবনা ছিল বৈশাখকে গণমানুষের কাছে ফিরিয়ে আনার, সার্বজনীন করার। কিন্তু সেটা হতে পারলো কই?

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সব নষ্টের মূল হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ তারা অভিভাবকসুলভ সুন্দর ভূমিকা রেখে জাতিকে সুসংগঠিত, ঐকবদ্ধ করতে পারতো। কিন্তু অযোগ্য নের্তৃত্যের কারনে জুলাই অভ্যুত্থানের সুফল আমরা এই বৈশাখে পেলামনা। এই দায়ভার কে নেবে? এই ক্ষতিইবা আমরা কিভাবে পূরণ করবো?

পতিত স্বৈরাচার হাসছে, তার দোসররা হাসছে তারা ঠিকই আগের মত জাতিকে বিভক্ত করে রাখতে পেরেছে। এতে তাদের রাজনৈতিক ফায়দা আছে।

চারুকলা বহু আগেই মরে গেছে এখন শুধু পচে পচা লাশের গন্ধ ছড়াচ্ছে। সংস্কৃতিকে আর হয়তো চারুকলা প্রতিনিধিত্ব করেনা। শিল্পী এবং তার চেয়ে বেশী রাজনীতিবিদ নিসার হোসেন গংরা বহু আগেই একে গলা টিপে মেরে ফেলেছেন। জুলাই অভ্যুত্থান বাংলাদেশে প্রাণ সঞ্চার করলেও চারুকলায় পারেনি। আসলে পারবে কি করে! চারুকলাতো মৃত লাশ।

এখন সময় নতুন চারা রোপনের। তার আগে প্রয়োজন মাটি প্রস্তুতের। তারপর হয়তো বীজ থেকে কোনো এক ভোরে চারা গজাবে। আসুন সবাই মিলে বাংলাদেশের মাটি প্রস্তুত করি ভবিষ্যতের বসবাসের উপযোগি করার জন্য।

নতুন প্রজন্ম জুলাই অভ্যুত্থান এর মত আমাদের হয়তো পথ দেখাবে। অন্তত তাদের উপর আমরা আস্থা রাখতে পারি। ভুল হলে বড়রা না হয় তাদের জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে ভুল শুধরে দেবে।

শুভ নববর্ষ
১৪৩২

ফরহাদ উদ্দিন মাসুম

১৪ এপ্রিল ২০২৫

 

শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৪

চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা ও মুখোশ

 

চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা ও মুখোশ

০১.০১.১৪৩০
১৪.৪.২০২৩

চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রা খুব বেশীদিনের নয়, অনেকেই বলেন হাজার বছরের সংস্কৃতি। আদতে মোটেও এটি হাজার বছরের সংস্কৃতি নয়। খোদ চারুকলা প্রতিষ্ঠানেরই বয়স বেশিদিনের নয়। এখনো ১০০ বছর হয়নি। তবুও এটি ঢাকা শহর তথা বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে। আমাদের বৈশাখ উদযাপন অনেক পুরনো। সেটি হয়তো হাজার বছরের সংস্কুতি। সেখানে হয়তো মঙ্গল শোভাযাত্রা ছিলনা কিন্তু বৈশাখ উদযাপন তথা নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার অনেক উপকরন ছিল যেমন: হালখাতা, বৈশাখী মেলা, নাগর দোলা, মুরালী, টেপা পুতুল, হাত পাখা, মাটির জিনিসপত্র, শখের হাঁড়ি ইত্যাদি।

হঠাৎ কোথা থেকে যেন উদয় হল বৈশাখী র‌্যালি তথা মঙ্গল শোভাযাত্রা। সারা ঢাকা বাসী আপন করে নিল এই বৈশাখী র‌্যালি তথা মঙ্গল শোভাযাত্রাকে। ধীরে ধীরে এটি সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়লো এবং আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠলো। যার শুরুটা হয়েছিল চারুকলা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এবং এখনো এর নেতৃত্বে চারুকলা প্রতিষ্ঠানই থাকে। কিন্তু কিসের বোধ থেকে এই বৈশাখী র‌্যালি তথা মঙ্গল শোভাযাত্রার শুরু……….

স্বৈরাচার প্রতিরোধে ঘৃনার এক প্রতিফলন ছিল এই মঙ্গল শোভাযাত্রা। বর্ষবরনের পাশাপাশি যা ছিল শিল্পী/সচেতন মানুষের রাজনীতির বহি:প্রকাশ।

সংস্কৃতি আর রাজনীতি কি সম্পূর্ণ আলাদা? কিন্তু কখনো কখনোতো এক হয়ে উঠে যেমন আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, বায়ান্ন। সংস্কৃতি কর্মীরাইতো এখানে তাদের রাজনীতির বহি:প্রকাশ ঘটিয়েছেন।

এখন পাঠক বলতেই পারেন বৈশাখতো হাজার বছরের বাঙালীর সংস্কৃতি এখানে রাজনীতির কি আছে? আসলে মানুষ কোনো না কোনো ভাবে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। সে কোনো রাষ্ট্রে বাস করা মানেই সে রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনীতি দ্বারা প্রভাবিত।

এখন বৈশাখ যেহেতু বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব এটার মর্যাদাই আলাদা। এটির প্রস্তুতি আলাদা। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই বৈশাখ উদযাপন করে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় তাই নানা রকমের জিনিসপত্র তৈরি হয় যেমন: মুখোশ, প্যাচা, বাঘ, হাতি, ঘোড়া, টেপা পুতুল ইত্যাদি। যা আসলে আমাদের সংস্কৃতিরই উপাদান। প্রতিটি জিনিস শুধু আমাদের আনন্দ দেয়না আমাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। বৈশাখ উদযাপনে পান্তাভাত আর ইলিশ কেন উঠে এসেছিল কারন এটিও আমাদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরে। ইউরোপ, আমেরিকা, আরব, আফ্রিকা ওখানে পান্তাভাত ইলিশ পাওয়া যাবেনা কারন ওটা ওদের সংস্কৃতি না। কালের বিবর্তনে ইলিশ আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে কিন্তু আমাদের সংস্কৃতি ছিল বটে। যা আমরা এখনো বয়ে চলি।

এখন এই যে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি সাধারনের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে যার দরুন একজন দিনমজুর বলছেন “মাছ, মাংস ও চালের স্বাধীনতা চাই” – এটি হতে পারতো এবারের মঙ্গলশোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। তাহলে বৈশাখ সাধারন মানুষকেই তুলে ধরতো। সাধারন মানুষের সাথে মঙ্গলশোভাযাত্রার যোগাযোগ তৈরি হতো। সংস্কৃতি যদি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে তবে তা মানুষের কাজে লাগেনা একসময় তা মৃত হয়ে পড়ে।

উপরন্তু শিল্পীরা সংবাদ মাধ্যমের মত প্রকাশের উপর সেন্সরশিপ আরোপ করতে চাই। এমনকি পত্রিকা বন্ধ করার জন্য তারা স্বাক্ষর দিয়েছেন। তারা শিল্পকর্মের উপরও সেন্সরশিপ আরোপের পক্ষে। সুতরাং মৌলবাদ এবং প্রগতিশীল নামধারী এইসব ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠানের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। আমাদের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যারা সংস্কৃতি রক্ষাকারি বলে নিজেদের মনে করে তারা আসলে সংস্কৃতি ধ্বংসকারী। শিল্পী নিসার স্যার এন্ড গংরা চাইনা চারুকলার বৈশাখ সার্বজনীন হোক। এতে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল হয়। তারা বিএনপি আমলে সুশীল সাজে। আওয়ামী আমলে সরকারের আজ্ঞাবহ থাকে। কারন তারা যতটা না শিল্পী তার চেয়ে বেশী রাজনীতিবিদ।

হিন্দু মুসলিম সংঘর্ষ বহু পুরনো বিট্রিশরা যার সূত্রপাত ঘটিয়েছিল যাতে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল হয়। বোকা হিন্দু মুসলিম এই ফাঁদে পা দিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় চারুকলার মুখোশের মত প্রগতিশীল নামধারী, সংস্কৃতির ঝান্ডাধারী কিছু মানুষ, কিছু রাজনীতিবিদ সেই পুরনো রাজনীতিকে এখনো বয়ে চলেছেন। এতে তাদের রাজনীতিতে সুবিধা হয়। তাদের ক্ষমতার মসনদ পাকাপোক্ত হয়।

যা আসলে এই জনপদের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর। বৈশাখ নিয়ে এই রাজনীতি আমাদের জাতীয় জীবনে কখনো সুফল বয়ে আনবেনা। বৈশাখ হতে পারতো বাঙালীর (এপার বাংলা ওপার বাংলা) সবচেয়ে বড় উৎসব (ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে)। কিন্তু এইসব মুখোশধারী কিছু ব্যক্তি কখনো এটা হতে দিতে চাইনা। এ যেন সর্ষের ভিতর ভূত।

তাই হয়তো মঙ্গলশোভাযাত্রায় মুখোশ আমাদেরকেই তুলে ধরে।

সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা….

মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আমি এক বাইনচোদের দেশে বাস করি

 

আমি এক বাইনচোদের দেশে বাস করি
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
২০১৮

আমি এক বাইনচোদের দেশে বাস করি- যেখানে বারবনিতারা দেশের নীতি নির্ধারক।

বেশ্যারা তাদের সুডোল পশ্চাদপশ দেখিয়ে আমাদের বলে এটাই হল সৌন্দর্য্।

মাথায় গোবর ভরা কিছু তেলাপোকা নিজেদের বুদ্ধিজীবি বলে জাহির করে।

আর আমরা তাদের মাথায় তুলে রাখি।

আমি এক বাইনচোদের দেশে বাস করি-

যেখানে প্রতিদিন আমরা প্রত্যেকে ধর্ষিত হয় তবু আমরা ভাবি আমরা সুখি।

অন্তত ভি আই পি (ভেরি ইম্পোর্টেন পোদপাকা) রা আমাদের  ধর্ষন করেছে বলে আমরা আত্মতৃপ্তি পাই।

আমি এক বাইনচোদের দেশে বাস করি-

যেখানে প্রতিদিন যানজটে নাকাল হয় নগরবাসী। আর আমরা ভিআইপিদের পতাকা তোলা গাড়ি দেখি ভাবি ঐযে আমাদের নেতানেত্রী যায়। তাদের চাঁদ মুখখানা একটু দেখতে পারলে নিজেদের ধন্য মনে করি।

আমি এক বাইনচোদের দেশে বাস করি- যেখানে উৎকোচ ছাড়া কোনো কর্ম সাধন হয়না।

আমি এক বাইনচোদের দেশে বাস করি- যেখানে মেধাবীরা কোটা নামক ভূতের বাক্সের যন্ত্রনায় হাঁশপাশ করে। তবু আমরা ভাবি আমরা উন্নয়নের উড়োজাহাজে চড়ে সারা পৃথিবী পাড়ি দিবো।

আমি এক বাইনচোদের দেশে বাস করি- যেখানে সাধারন প্রজারা ব্যাংকে টাকা রাখে আর আমাদের রাজা, রাণী, রাজপুত্ররা সব টাকা তাদের দুর্গন্ধভরা ভোগলে নিয়ে বিদেশে পাড়ি দেয়।

গরীবেরা না খেয়ে থাকে। আর ধনীরা আরো ধনীতে রুপান্তর হয়। সুইস ব্যাংকে তাদের হিসেবের অংক বাড়তে থাকে।

আমি এক বাইনচোদের দেশে বাস করি- যেখানে আইন শৃংখলা বাহিনী নিজেই ভক্ষক এর বেশে রাজত্ব কায়েম করেছে।

আমি এক বাইনচোদের দেশে বাস করি- যেখানে প্রতিনিয়ত আমরা প্রতারিত হয় তবু আমরা ভাবি একদিন আমরা বেহেশতে গিয়ে আঙুর ফল খাবো আর হুরপরীদের সাথে সঙ্গমে মিলিত হবো।

রবিবার, ১০ মে, ২০২০

jibon mane gurho darshonik rohosho, protiniyoto er pata porte porte somoy chole jai

#HIgh_Hopes

#HIgh_Hopes
#Pink_Floyd
#Translation #bangla_translation
উচ্চ আশা
আমরা যখন তরুণ ছিলাম সেই জায়গাটির দিগন্ত ছাড়িয়ে
চুম্বক ও অলৌকিক এক জগতে
আমাদের চিন্তা ক্রমাগত সীমানা ছাড়িয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করত
বিভাগের ঘন্টা বাজতে শুরু করেছিল
লং রোড বরাবর ও কৌসেওয়ে নিচে
তারা কি এখনও সেখানে কাট দ্বারা দেখা করে
সেখানে একটি র‌্যাগড ব্যান্ড ছিল যারা আমাদের পদক্ষেপ অনুসরণ করেছিল
সময়ের আগেই দৌড়াতে আমাদের স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছিল
অগনিত ছোট প্রাণী ছেড়ে আমাদের মাটিতে বেঁধে রাখার চেষ্টা করেছিল
ধীর ক্ষয়ের মাধ্যমে জীবন গ্রাস
ঘাস ছিল সবুজ
আলো ছিল আরো উজ্জ্বল
যখন বন্ধুরা ঘিরে থাকে
বিস্ময়ের রাত
আমাদের পেছনে ঝলমলে সেতুর জ্বলন্ত আলো বাইরে তাকিয়ে
এটি অন্য দিকে কতটা সবুজ ছিল, তার এক ঝলক
পদক্ষেপ এগিয়ে নেওয়া হলেও আবার ঘুম পিছু হটিয়ে দিচ্ছে
ভেতরের কিছু শক্তি জোর করে টেনে নিয়ে যাচ্ছে
পতাকা উত্তোলনের সঙ্গে বেশি উচ্চতায়
আমরা অবাক হয়ে সেই স্বপ্নের পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে পৌঁছলাম
ইচ্ছা ও উচ্চাকাঙ্খা দ্বারা চিরতরে বিজড়িত
একটা ক্ষুধা এখনো অটুট আছে
আমাদের ক্লান্ত চোখে এখনও দিগন্ত বিপথগামী
যদিও এই রাস্তা দিয়ে আমরা অনেক বার এসেছি
ঘাস ছিল সবুজ
আলো ছিল উজ্জ্বলতর
স্বাদ ছিল মিষ্টি
বিস্ময়ের রাত
বন্ধুদের সঙ্গে ঘিরে
ভোরের কুয়াশা ঝলমলে
পানি বয়ে চলেছে
অন্তহীন নদী
চিরদিনের জন্য


সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৯

Wish You Were Here-Pink Floyd


Wish You Were Here
Pink Floyd
Bangla translation

তুমি যদি এখানে থাকতে
পিংক ফ্লয়েড

তো, তাহলে তুমি মনে কর তুমি বলতে পারো
জাহান্নাম থেকে স্বর্গ
ব্যাথা থেকে নীল আকাশ
তুমি কি বলতে পারো একটি সবুজ মাঠ
একটি ঠান্ডা ইস্পাত রেল থেকে?
ঘোমটা থেকে একটি হাসি?
তুমি কি বলতে পারো?
তারা কি তোমাকে লেনদেন করতে দিয়েছিল
ভূতদের জন্য তোমার নায়ককে?
গাছের জন্য গরম ছাই?
একটি শীতল হাওয়ার জন্য গরম বাতাস?
পরিবর্তনের জন্য আরামদায়ক ঠান্ডা?
তুমি কি বিনিময় করেছো
য়ুদ্ধের মধ্যে অংশ নিয়ে হাঁটার
খাঁচার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য?
আমি কিভাবে....
#Wish_You_Were_Here
#Pink_Floyd

Another Brick in the Wall Pink Floyd


Another Brick in the Wall Pink Floyd
Bangla translation
আমাদের শিক্ষার কোনো প্রয়োজন নেই।
আমাদের চিন্তা নিয়ন্ত্রনের দরকার নেই।
শ্রেণীকক্ষে কোনো ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করা যাবে না
শিক্ষক, শিশুদের একা ছেড়ে দাও
হে শিক্ষক, বাচ্চাদের একা থাকতে দাও
মোটের উপর এটা শুধু দেওয়াল অন্য ইটের 
মোটের উপর এটা শুধু দেওয়াল অন্য ইটের 
আমাদের শিক্ষার কোনো প্রয়োজন নেই।
আমাদের চিন্তা নিয়ন্ত্রনের দরকার নেই।
শ্রেণীকক্ষে কোনো ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করা যাবে না
শিক্ষক, শিশুদের একা ছেড়ে দাও
হে শিক্ষক, বাচ্চাদের একা থাকতে দাও
মোটের উপর এটা শুধু দেওয়াল অন্য ইটের 
মোটের উপর এটা শুধু দেওয়াল অন্য ইটের
“ভুল, আবার করো! ভুল, আবার করো ”
তুমি যদি ইয়ের মাংস না খেয়ে থাকো তবে তুমি পুডিং পাবে না
তুমি কিভাবে পুডিং পেতে পারো  যদি তুমি  ইয়ের মাংস না খাও?
তুমি, হ্যা, তুমি কি সাইকেলের পিছনে এখনো দাঁড়ানো সেই তরুণী