কবিতা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
কবিতা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আমি এক বাইনচোদের দেশে বাস করি

 

আমি এক বাইনচোদের দেশে বাস করি
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
২০১৮

আমি এক বাইনচোদের দেশে বাস করি- যেখানে বারবনিতারা দেশের নীতি নির্ধারক।

বেশ্যারা তাদের সুডোল পশ্চাদপশ দেখিয়ে আমাদের বলে এটাই হল সৌন্দর্য্।

মাথায় গোবর ভরা কিছু তেলাপোকা নিজেদের বুদ্ধিজীবি বলে জাহির করে।

আর আমরা তাদের মাথায় তুলে রাখি।

আমি এক বাইনচোদের দেশে বাস করি-

যেখানে প্রতিদিন আমরা প্রত্যেকে ধর্ষিত হয় তবু আমরা ভাবি আমরা সুখি।

অন্তত ভি আই পি (ভেরি ইম্পোর্টেন পোদপাকা) রা আমাদের  ধর্ষন করেছে বলে আমরা আত্মতৃপ্তি পাই।

আমি এক বাইনচোদের দেশে বাস করি-

যেখানে প্রতিদিন যানজটে নাকাল হয় নগরবাসী। আর আমরা ভিআইপিদের পতাকা তোলা গাড়ি দেখি ভাবি ঐযে আমাদের নেতানেত্রী যায়। তাদের চাঁদ মুখখানা একটু দেখতে পারলে নিজেদের ধন্য মনে করি।

আমি এক বাইনচোদের দেশে বাস করি- যেখানে উৎকোচ ছাড়া কোনো কর্ম সাধন হয়না।

আমি এক বাইনচোদের দেশে বাস করি- যেখানে মেধাবীরা কোটা নামক ভূতের বাক্সের যন্ত্রনায় হাঁশপাশ করে। তবু আমরা ভাবি আমরা উন্নয়নের উড়োজাহাজে চড়ে সারা পৃথিবী পাড়ি দিবো।

আমি এক বাইনচোদের দেশে বাস করি- যেখানে সাধারন প্রজারা ব্যাংকে টাকা রাখে আর আমাদের রাজা, রাণী, রাজপুত্ররা সব টাকা তাদের দুর্গন্ধভরা ভোগলে নিয়ে বিদেশে পাড়ি দেয়।

গরীবেরা না খেয়ে থাকে। আর ধনীরা আরো ধনীতে রুপান্তর হয়। সুইস ব্যাংকে তাদের হিসেবের অংক বাড়তে থাকে।

আমি এক বাইনচোদের দেশে বাস করি- যেখানে আইন শৃংখলা বাহিনী নিজেই ভক্ষক এর বেশে রাজত্ব কায়েম করেছে।

আমি এক বাইনচোদের দেশে বাস করি- যেখানে প্রতিনিয়ত আমরা প্রতারিত হয় তবু আমরা ভাবি একদিন আমরা বেহেশতে গিয়ে আঙুর ফল খাবো আর হুরপরীদের সাথে সঙ্গমে মিলিত হবো।

শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৮

ছবি যেন কথা বলে,
প্রতিনিয়ত
দৃশ্যমান ছবি অথবা অদৃশ্যমান ছবি।
বুকের বামপাশটা চিনচিনে ব্যথা করে উঠে
ছবি কথা বলে
অথবা
অনেক কথা জাগ্রত করে,
যদি পোড়ানো যেত ছবি
তবে ছাইপাশগুলো কথা বলে উঠতো
উফৃ ছবি কথা বলে অথবা
খুব বেশি নীরব থাকে
আমার জমানো কথাগুলো আমাকেই গ্রাস করে
বেড়ে বেড়ে উঠে
শুধুই বেড়ে উঠে
ছবি কথা বলে

বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

হারিয়েছি পথ

ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
০৬.০৯.২০১৭

শেষ ট্রেনটায় বাড়ি ফিরবো বলে পথ হারিয়েছি
অপেক্ষার প্রহর গুনছি
আচ্ছা শেষ ট্রেনটি যদি আর না আসে
তবে কি তুমি আমায় সঙ্গ দিবে সারারাত্রি?
মৃৃদু বাতাসে আমরা কিছু কথা কইবো আমাদের স্বপ্ন নিয়ে
যা আমাদের আজো বাঁচিয়ে রাখে।
বলতে পারো?
ভালবাসাহীন একটি রাত্রি মৃত্যুর সমান
আমি বাঁচিবার চাই।
হেমন্তের হলুদ লগনে শিস দেওয়া পাখির কলতানে আমি জীবনকে উপভোগ করতে চাই।
প্রিয়তমা, ছোট্ট এই জীবনে তুমি আমার সঙ্গী হবে?
পূর্ণিমার চাঁদ আলোকিত করবে মেঘেদের রাজ্য
দু একটি দুষ্টু মেঘ চাঁদ কেটে বেরিয়ে যাবে ¯্রােতের অনুকূলে।
আমি হাত দিয়ে স্পর্শ করি
কবিতার লাবণ্য ভরা যৌবন আমাকে বাঁচতে উজ্জীবিত করে
হায়! বাঁিচবার কি সাধ মানুষের।
মুহূর্ত অতীতে রূপ নেয়
বর্তমান জাহাজের মত বেরিয়ে যায়,
স্মৃতি সমুদ্রের ফেনার মত দূর অতীতে হারিয়ে যায়,
ভবিষ্যত যেন দিগন্ত রেখায় জল আর মেঘেদের কোলাকুলি।
সাদা গাংচিল হৃদয়ে দোলায়
আমি বাতাসে ভালবাসা ছুঁড়ে দেয়
সাদা গাংচিল টপ করে গিলে নেয় আমার ভালবাসা।
গাংচিল তুমি অন্তত আমার সঙ্গী হও
আমাকে তীরে পৌছে দিতে না পারলেও অন্তত সাগরের জলরাশি অতিক্রম করার সাহস দাও।
আরো কিছুক্ষন সঙ্গ দাও।
আমি অন্তত ঢেউয়ে ভাসতে শিখি
প্রিয়তমা, বাতাসে মিষ্টি বেলীর গন্ধ আমাকে আন্দোলিত করে
সমুদ্রের জলরাশি আমাকে ডাকে
খুব ইচ্ছে করে ডুবে যেতে তার কোমল বক্ষে।

বুধবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৭


বিশুদ্ধ গোলাপ

শাহবাগ, ঢাকা
১১.০১.২০১৭
 
প্রিয়তমা তোমাকে বিশুদ্ধ গোলাপ দেয়া হয়নি
তোমার জন্য কেনা ছিল সাতটি বিশুদ্ধ গোলাপ,
প্রতিদিন একটি করে গোলাপ দিব বলে জমিয়ে রেখেছিলাম সাতটি গোলাপ।
বুকের মাঝে জমা ছিল গোলাপ গুলো
আর সাথে কিছু গোলাপ এর কাটা।
কাটা গুলি বিঁধতো আমার বুকে।
তবুও তোমাকে দিব বলে জমিয়ে রেখেছিলাম
বসন্তের অপেক্ষায়।
গ্রীষ্ম গেলো বর্ষা গেলো শীত, হেমন্ত গেলো
শরতও গিয়েছিল।
শরত এর মেঘ ভাসিয়েছিল আমায় ভেলায়।
কিন্তু বসন্ত এলনা।
তার আগেই তুমি ভাসিয়ে দিয়েছ তোমার নৌকা।
আমি আনমনে ভাবি
তাকিয়ে দেখেছি তোমার চলে যাওয়া।
অবশেষে না পেরে তোমার ছুটে চলা নৌকার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছি
ভাসতে ভাসতে শরীরের সব শক্তি আমি হারিয়ে ফেলেছি
ডুুবে যেতে শুরু করেছি সমুদ্রের অতল তলে।
দূর থেকে তোমার নৌকার পাল দেখছি
তোমাকে দেখতে পাইনা।
আমার হারিয়ে যাওয়া গাংচিল গুলো নিয়ে তুমি ছুটে চলেছে
সমুদ্রের জলরাশির দিকে তেপান্তর এর অপেক্ষায়,
তোমার পালের ছায়া পরেছে আমার গায়
ঠিক যেন সালভাদর দালির পেইন্টিং এর মত
লম্বাটে আরো লম্বাটে ছায়া
সুরারিয়ালিজমের বিশাল প্রান্তরে আমি হারিয়ে যাচ্ছি..
ভালো থেকো মিাষ্ট প্রজাপতি...

বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

তোমাকে দিলাম প্রিয়তমা


তোমাকে দিলাম প্রিয়তমা

ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
১০/০২/২০১৬

ভালবাসার ১৪টি গোলাপ পচে গেলেও সদ্য নতুন ফোটা গোলাপ তোমাকে দিলাম প্রিয়তমা,
বাংলাদেশের প্রান্তরে প্রান্তরে ফোটা গোলাপ তোমাকে দিলাম প্রিয়তমা,
১৯৬ টি দেশের গোলাপ তোমাকে দিলাম প্রিয়তমা,
সাথে থাকবে নতুন স্বাধীন হবে এমন রাষ্ট্রের  ৭ টি নতুন গোলাপ,
স্বাধীনতার সোনালী সূর্যের আভা লেগে থাকবে আমার গোলাপে।
প্রিয়তমা তোমার জন্য রইলো সকালে ফোটা প্রথম গোলাপ, যার অপেক্ষায় আমি সারা রাত্রি জেগেছিলাম।
প্রিয়তমা, সদ্য ফোটা গোলাপটি তোমার নরম হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আমি অধীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি।
কখন তোমার ঘুম ভাঙবে?
আমি নতজানু হয়ে আমার সবকয়টি গোলাপ তোমার হাতে তুলে দিব
তুমি গ্রহণ করো
অন্তত মৃদু হাসো..
ভালবাসাময় হয়ে উঠুক আমার চারপাশ।

সোমবার, ৮ জুন, ২০১৫

জন্মভূমি

জন্মভূমি
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
৪/৬/২০১৫, গোপীবাগ,ঢাকা

আমি মানচিত্র চাইনা
পতাকা চাইনা
চাই জন্মভূমি।
যে ভূমি সকলের
একটিই ভূমি-
পৃথিবী।
পৃথিবী আমার জন্মভূমি
মার্র্তৃভূমি, পির্তৃভূমি
তোমার, আমার, আমাদের সকলের,
এই ভূমির অধিকার পাক সকলে যারা জন্ম নিয়েছে
এই ধরায়।
নি:শেষিত হোক সকল যুদ্ধ, অন্যায়, অবিচার
অধিকার লাভ করুক সকলে এই ভূমির।

সোমবার, ২৩ মার্চ, ২০১৫

আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ

আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
২৩/০৩/২০১৫
যে মুহূর্তে একটি কবিতা জন্ম নিল তখন আমি
পৃথিবীর সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ।
তুমি আমার হাতে হাত রাখলেনা
বুকের ভিতর টেনে নিলেনা গাঢ় নি:শ্বাস
তবু আমার বিশ্বাস
ফুল একদিন ফুটবেই।
পৃথিবীর সকল গোলাপ লুটাবে তোমার পায়ে
ল্যাম্পপোস্টগুলো নতজানু হয়ে তোমাকে জানাবে অভিবাদন
তুমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষের প্রেমিকা
প্রেম বৃষ্টি হয়ে তোমাকে সিক্ত করবে।
কপাল থেকে নাক, নাক থেকে গড়িয়ে তোমার ঠোঁট
ছুঁয়ে যাবে বৃষ্টি
বৃষ্টি, বৃষ্টি, বৃষ্টি
ভালবাসার বৃষ্টি।
কবিতায় শব্দগুলো নেচে বেড়াবে
তোমার এলোচুলে খেলা করবে।
আমি বাতাসে চুম্বন ছুড়ে দিয়ে বলবো
প্রেম তোমাকে দিলাম।

ঘাসফুল নাকি শিশির বিন্দু

ঘাসফুল নাকি শিশির বিন্দু
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
২৩/০৩/২০১৫, আদাবর

ঘাসফুল ফোটে
ঘাসফড়িঙ উড়ে বেড়ায়
শিশির বিন্দু হারায়
প্রতিদিন
প্রতিদিন সূর্য উঠে প্রতিদিনই শিশির বিন্দুর মৃত্যু ঘটে।
ঘাসফুল একাকী নি:সঙ্গ জেগে রয়।
তবু আশা হারায়না
একি ভালবাসা !
মৃদুলা ভালবাসার সবটা আজো অজানা।
ভালবাসার বেলুনে বাতাস বন্দী,
বন্দী তার কবিতা
বন্দী যেন জীবন
বন্দী যেন চিত্রকলার মৃদু পরশ
বন্দী তুমি আমি
না তুমি নও
বন্দী আমার কল্পনা
বন্দী আমার আকাশ।
খয়েরী কালো আকাশ আমার
নীলছে কালো কবিতা
নীল থেকে নীলে ভালবাসার ভুলে
না
ভালবাসার কোনো ভুল নেই ভুল শুধু তার পাত্রে
যেমনটা হয়তো চিত্রকলায় ভুল নেই
ভুল শুধু কবিতায়,
লাবন্যে,ভুল শুধু সংগীতের নোটেশনে।
জগতের সকল ভুল শিউলি ফুল হয়ে গন্ধ ছড়াক।
কবিতায়, চিত্রকলায়, সঙগীতে
সেলুলয়েডের লাল ফিতেয় বাঁধা পড়ুক তোমার সোনালী চুল
কবিতায় লাবণ্য ছড়াক
ভালবাসার মিস্টি গোলাপ।
ফুল হয়ে ফুটুক আগামী।

মঙ্গলবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

বিষন্ন প্রকৃতি

বিষন্ন প্রকৃতি
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটউট, দারুস সালাম, ঢাকা


প্রকৃতি এখন বিষন্ন
মিস্টি আলোয় .. ঠিক আলো নয়..
মৃদু বাতাস বয়ে যায়
শরীরকে শিহরিত করে
মনকে শীতল করে
এমন সময়
মানুষের প্রেমিক মনকে জাগ্রত করে
জাগ্রত করে বিষন্নতা।
জীবনের শূণ্যতা
আরো একবার ভাবিয়ে দিয়ে যায়
জীবন, অনুভূতি, ভালোলাগা, ভালোবাসা
হে প্রকৃতি
শূণ্যতা নয়, পূর্ণতার খোঁজে এই জীবন

মঙ্গলবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

ভাবনার অতল

ভাবনার অতল
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম

কিছু কিছু কারন
জানি অকারন
তবু ভাবায়
মিছে ভাবালুতায়
আমিও বসে আছি
কথা ফুরায়না
কেন বা ঘটে
যা ঘটে তা তো রটে
তখন আমি বা কি করি
ভেবে ভেবে পড়ে মরি
হে ঈশ্বর ভগবান
যদি বা থেকে থাকেন
আমায় শক্তি দিন।

রবিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

শুধুই শূণ্যতা

শুধুই শূণ্যতা
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম

আমি জানি কেমন !
উরু উরু তেমন
ঠান্ডা শীতল মন খুঁজে অতল
শূণ্যতা চারপাশে
বিষাদের কালো ছায়া আশপাশে
খুঁজে ফিরি কি?
এখনো ভাবি
ভাবনার অতল তলে হাতড়ে বেড়াই
তলানীতে পড়ে থাকে
শুধুই শূণ্যতা...

শনিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

স্বপ্ন জেগে রয়

স্বপ্ন জেগে রয়
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম

স্বপ্ন জেগে রয়
জেগে থাকা সময়
তবু আমি একা হেঁটে যায়
আমার স্বপ্নের দূর সীমানায়।
কোনো এক স্বপ্নের মাঝে
আমি একাকী ভেসে যাই
তবু আমি হাতড়ে বেড়াই
লালনীল স্বপ্নগুলো।

ঈশ্বরের প্রতি

ঈশ্বরের প্রতি
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম

হে ঈশ্বর ভগবান
আর কত কারণ
ঘটবে আর রটবে
আমার তবে স্থান কোথা
এই মিছে হেথা
তোমার বা কাজ কি ?
শুধুই দেখা !
আর মিছে বাক্যবান
বসে বসে ভাবি
দেয়ালে পিঠ ঠেকা
আর কান্নার প্রলাপ বকা
তুমিও এমন !
দেখছো কি কারন
সব তোমার জন্য
এই জীবন ধন্য !

শুক্রবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

আচ্ছা বলো তো

আচ্ছা বলো তো
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
৬/০২/২০১৫

আচ্ছা বলো তো আমি কি এমন !
আমি কি খুব..
জানি বলবেনা
কিছুই আর বাকি থাকলনা
সবটাই মিছে ইতিহাস।
মিছে ভাললাগার গল্প বলা
মিছে কাল্পনিক কিছু মুহূর্ত
মিছে ভাললাগার সব মিশেল
ভালবাসি
ভালবাসি বলতেও আজ ভয় হয়।

বেচেঁ উঠি

বেচেঁ উঠি
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম


মনে পড়ে মাঝ দরিয়ায় সাতরানোর চেষ্টায় অবিরত
ঢেউয়ের দোলায় হতবাক হওয়া
ডুবে ডুবে একমুঠো পানি খাওয়া্
তবুও ভালো লাগে ভেসে থাকতে
করজোড়ে অনুরোধ আমার হাতটি ধরো
আমাকে টেনে তোলো
আরো কিছুক্ষন ভেসে থাকি
আরো কিছুক্ষন শ্বাস নিই
আমি বেঁচে উঠি
আমার বেঁচে থাকার স্বপ্নটাকে জিইয়ে রাখো
জিইয়ে রাখো

রবিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৫

আমি দেখেছি তোমায়

আমি দেখেছি তোমায়
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম

আমি দেখেছি তোমায় স্বপ্নে, বাস্তবতায়
আমি দেখেছি তোমায় আলো আঁধারে নীরবতায়
আমি দেখেছি তোমায় কালে ভদ্রে অচেনা জায়গায়
আমি দেখেছি তোমায় অনুভবে শিহরনে মাঝ দরিয়ায়
আমি দেখেছি তোমায় আকাশের নীল সীমানায়
আমি দেখেছি তোমায় আয়নায় লক্ষ্যভেদ করে ছুটে চলেছো অজানা মায়ায়।
আমি দেখেছি তোমায় দূর পাহাড়ের চূড়ায়
আমি দেখেছি তোমায় আকাশে মেঘের লুকোচুরি খেলায়
আমি দেখেছি তোমায় নদীর স্বচ্ছ জলে, সরোবরে নতুন সূর্যোদয়।
আমি দেখেছি তোমায় শিশির দুবঘাসে সজীবতায়
আমি দেখেছি তোমায় হলুদ আলোয় স্বপ্নময় আভায়
আমি দেখেছি তোমায় গোধুলির শেষ আলোয় ডানা মেলে উড়ছো হাওয়ায়।
আমি দেখেছি তোমায় রাত্রির নি:স্তব্ধতায় চাঁদের পূর্ণিমায়
আমি দেখেছি তোমায় ভোরের  বাতাসে শিহরন দোলায়
আমি দেখেছি তোমায় সকালের সূর্যালোকে লুকোচুরি খেলায়
আমি দেখেছি তোমায় কর্মব্যস্ততায়, হঠাৎ চমকানো আলোয়
আমি দেখেছি তোমায় ইটের দেয়ালে কংক্রীটের বাঁধনে
আমি দেখেছি তোমায় গাছের ছায়ায়, বাঁশি বাজছে বাজছে সানাই।
আমি দেখেছি তোমায় হলুদ ফুল মিষ্টি ভুল, হাওয়ায় বুলবুল
আমি দেখেছি তোমায় সমুদ্রের ঢেউয়ে ভাসছো, ভাসছো আর ভাসছো
আমি দেখেছি তোমায় তপ্ত রোদে আলোকছটায়
আমি দেখেছি তোমায় লাল নীল স্বপ্নে বিমূর্ত ভালবাসায়।

মঙ্গলবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৫

ঈশ্বরের আলো

ঈশ্বরের আলো
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
২৫/১২/২০০৭

আজ বড়দিন
খৃষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন
ঝিনুক বাতির আলোকছটায় রাঙানো গীর্জার চারপাশ
রোদ এসে ঠিকরে পড়ছে
বাতাসে দোল খেয়ে ঝিনুক বাতিগুলো চিকচিক করে উঠে।
স্বয়ং ঈশ্বর যেন আজ নেমে আসবেন মর্ত্যে
ঐ গীর্জার চূড়া দিয়ে তিনি নামবেন
এক অপার্থিব আলোয় আলোকিত হবে চারপাশ।
আলোর ধর্ম মতে তার প্রথম কাজ আলোকিত করা
আর অন্ধকারকে দূরীভিত করা
ঈশ্বর নেমেই পৃথিবীকে শুধু আলোকিত করবেননা
রাঙিয়ে তুলবেন সবকিছু শান্তির পরশে
পবিত্রতায় ভরে উঠবে আজকের পৃথিবী।
পামগাছগুলো যেন ঝিনুক বাতির আনন্দে আনন্দিত
তার লতাগুল্মগুলো নেমে আসছে নীচের দিকে
যেন অন্যরকম এক ঝিনুক বাতি।
ঘুলঘুলির ছোট্ট আলোয়
দেয়ালটায় বৈচিত্র্য আনছে
মনে হয় যেন সুন্দর টেক্সচার,
সবকিছু সুন্দরে রুপান্তরিত হোক।

ছেলেবেলা

ছেলেবেলা
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
২৪/১২/২০০৭


প্লাটফরমের ওপাশটায় হেঁটে চলেছি
বহুদিন হাঁটা হয়না এ পাশে
সেই যখন স্কুলে পড়ি
কতদিন হেঁটে বাসায় ফিরতাম
প্লাটফরমে এসে বাতাসের গন্ধ নিতাম,
কখনোবা বাসে ফিরতাম
ওভারব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে
দূরপানে চেয়ে থাকতাম
হেঁটে যখন ফিরতাম তখন তৃপ্তির মায়ায় জড়িয়ে পড়তাম
দু এক টাকা, পাঁচ টাকা ইত্যাদি করে জমিয়ে রাখতাম
তৃপ্তিকে পাওয়ার জন্য
এখন তৃপ্তি নেই তার জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে নতুন কেউ
কিন্তু সেই তৃপ্তিটুকু কি আর আছে
আমার ছেলেবেলার তৃপ্তি
এখনো খুঁজে ফিরি।

সোমবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৫

টিকেটের জন্য অপেক্ষা

টিকেটের জন্য অপেক্ষা
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
২৪/ ১২/ ২০০৭
টিকেটের জন্য অপেক্ষায় বসে আছি
কখন আসবে টিকেট
সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা পেরিয়ে গেল
তবু টিকেট আসছেনা
আমি ঠিক ডুবে যেতে বসেছি কবিতার মাঝে
অনেকক্ষণ অপেক্ষা,
কিছু কবিতার এলোমেলো রেখা
হঠাৎ মাঝবয়সী একজন এসে বললেন
ঠিক বললেননা যেন বুঝতে পেরেছিলেন
আমিই টিকেটের জন্য অপেক্ষায় বসে আছি
হাত বাড়িয়ে দিলেন
টিকেট হাতে পেয়ে দেখলাম এখনো অনেক সময় বাকী
ঠিক গুছিয়ে নেবার।
এমনি করে যদি পৃথিবী হতে গন্তব্যে ফিরে যাওয়ার টিকেট পেতাম
কেউ এসে আমায় বলতো এই নাও
স্রষ্টার কাছে যাওয়ার টিকেট
তোমার হাতে অনেক সময়
গুছিয়ে তৈরী হয়ে নাও।
আমি আমার হাতের সবখানি কাজ গুছিয়ে নিতাম
সকলের কাছে হাসিমুখে বিদায় নিয়ে বলতাম-
তোমরা সকলেই ভালো থেকো।

স্বপ্নডানা

স্বপ্নডানা
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
২৪/১২/২০০৭

কবিতারা সব ঘুরে বেড়ায়
আকাশের প্রান্তে
হাত বাড়িয়ে ছুঁতে চায়।
মন বলে  মিস্টি রোদ,
শিশির কণা হারায়,
আমি বলি ভালবাসা
বেচেঁ উঠি তার ছায়ায়
তবুও-
কিছুতে কিছু হয়না
ভালবাসাও পূর্ণতা পায়না
দূর থেকে তাকিয়ে দেখি
কালো কাক, রোদের মায়ায়
সাদা আলোর ঝিলিক দিয়ে যায়।
আমি সুন্দর রোদ উপভোগ করি
বাতাসে মৃদু দোল দিয়ে যায়,
পাখিরাও ডানা ঝাপটিয়ে হেসে বেড়াই
আমি শুধু-
ডানা হোক স্বপ্ন
ভেসে বেড়াই।