সোমবার, ৮ জুন, ২০১৫

জন্মভূমি

জন্মভূমি
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
৪/৬/২০১৫, গোপীবাগ,ঢাকা

আমি মানচিত্র চাইনা
পতাকা চাইনা
চাই জন্মভূমি।
যে ভূমি সকলের
একটিই ভূমি-
পৃথিবী।
পৃথিবী আমার জন্মভূমি
মার্র্তৃভূমি, পির্তৃভূমি
তোমার, আমার, আমাদের সকলের,
এই ভূমির অধিকার পাক সকলে যারা জন্ম নিয়েছে
এই ধরায়।
নি:শেষিত হোক সকল যুদ্ধ, অন্যায়, অবিচার
অধিকার লাভ করুক সকলে এই ভূমির।

সোমবার, ২৩ মার্চ, ২০১৫

আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ

আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
২৩/০৩/২০১৫
যে মুহূর্তে একটি কবিতা জন্ম নিল তখন আমি
পৃথিবীর সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ।
তুমি আমার হাতে হাত রাখলেনা
বুকের ভিতর টেনে নিলেনা গাঢ় নি:শ্বাস
তবু আমার বিশ্বাস
ফুল একদিন ফুটবেই।
পৃথিবীর সকল গোলাপ লুটাবে তোমার পায়ে
ল্যাম্পপোস্টগুলো নতজানু হয়ে তোমাকে জানাবে অভিবাদন
তুমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষের প্রেমিকা
প্রেম বৃষ্টি হয়ে তোমাকে সিক্ত করবে।
কপাল থেকে নাক, নাক থেকে গড়িয়ে তোমার ঠোঁট
ছুঁয়ে যাবে বৃষ্টি
বৃষ্টি, বৃষ্টি, বৃষ্টি
ভালবাসার বৃষ্টি।
কবিতায় শব্দগুলো নেচে বেড়াবে
তোমার এলোচুলে খেলা করবে।
আমি বাতাসে চুম্বন ছুড়ে দিয়ে বলবো
প্রেম তোমাকে দিলাম।

ঘাসফুল নাকি শিশির বিন্দু

ঘাসফুল নাকি শিশির বিন্দু
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
২৩/০৩/২০১৫, আদাবর

ঘাসফুল ফোটে
ঘাসফড়িঙ উড়ে বেড়ায়
শিশির বিন্দু হারায়
প্রতিদিন
প্রতিদিন সূর্য উঠে প্রতিদিনই শিশির বিন্দুর মৃত্যু ঘটে।
ঘাসফুল একাকী নি:সঙ্গ জেগে রয়।
তবু আশা হারায়না
একি ভালবাসা !
মৃদুলা ভালবাসার সবটা আজো অজানা।
ভালবাসার বেলুনে বাতাস বন্দী,
বন্দী তার কবিতা
বন্দী যেন জীবন
বন্দী যেন চিত্রকলার মৃদু পরশ
বন্দী তুমি আমি
না তুমি নও
বন্দী আমার কল্পনা
বন্দী আমার আকাশ।
খয়েরী কালো আকাশ আমার
নীলছে কালো কবিতা
নীল থেকে নীলে ভালবাসার ভুলে
না
ভালবাসার কোনো ভুল নেই ভুল শুধু তার পাত্রে
যেমনটা হয়তো চিত্রকলায় ভুল নেই
ভুল শুধু কবিতায়,
লাবন্যে,ভুল শুধু সংগীতের নোটেশনে।
জগতের সকল ভুল শিউলি ফুল হয়ে গন্ধ ছড়াক।
কবিতায়, চিত্রকলায়, সঙগীতে
সেলুলয়েডের লাল ফিতেয় বাঁধা পড়ুক তোমার সোনালী চুল
কবিতায় লাবণ্য ছড়াক
ভালবাসার মিস্টি গোলাপ।
ফুল হয়ে ফুটুক আগামী।

মঙ্গলবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

বিষন্ন প্রকৃতি

বিষন্ন প্রকৃতি
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
ফেব্রুয়ারী, ২০১৫
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটউট, দারুস সালাম, ঢাকা


প্রকৃতি এখন বিষন্ন
মিস্টি আলোয় .. ঠিক আলো নয়..
মৃদু বাতাস বয়ে যায়
শরীরকে শিহরিত করে
মনকে শীতল করে
এমন সময়
মানুষের প্রেমিক মনকে জাগ্রত করে
জাগ্রত করে বিষন্নতা।
জীবনের শূণ্যতা
আরো একবার ভাবিয়ে দিয়ে যায়
জীবন, অনুভূতি, ভালোলাগা, ভালোবাসা
হে প্রকৃতি
শূণ্যতা নয়, পূর্ণতার খোঁজে এই জীবন

মঙ্গলবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

কবি ও কাক

ক তে কবি ক তে কাক। শহরে দুটের সংখ্যাই বেড়ে গেছে তাই তাদের বিশেষ মূল্য নেই। পাখি হিসেবে কদর নেই কাকের তেমনি কবিদের মূল্য নেই সমাজে। কাক এবং কবি দুটোই একাকার।

ভাবনার অতল

ভাবনার অতল
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম

কিছু কিছু কারন
জানি অকারন
তবু ভাবায়
মিছে ভাবালুতায়
আমিও বসে আছি
কথা ফুরায়না
কেন বা ঘটে
যা ঘটে তা তো রটে
তখন আমি বা কি করি
ভেবে ভেবে পড়ে মরি
হে ঈশ্বর ভগবান
যদি বা থেকে থাকেন
আমায় শক্তি দিন।

রবিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

শুধুই শূণ্যতা

শুধুই শূণ্যতা
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম

আমি জানি কেমন !
উরু উরু তেমন
ঠান্ডা শীতল মন খুঁজে অতল
শূণ্যতা চারপাশে
বিষাদের কালো ছায়া আশপাশে
খুঁজে ফিরি কি?
এখনো ভাবি
ভাবনার অতল তলে হাতড়ে বেড়াই
তলানীতে পড়ে থাকে
শুধুই শূণ্যতা...

শনিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

স্বপ্ন জেগে রয়

স্বপ্ন জেগে রয়
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম

স্বপ্ন জেগে রয়
জেগে থাকা সময়
তবু আমি একা হেঁটে যায়
আমার স্বপ্নের দূর সীমানায়।
কোনো এক স্বপ্নের মাঝে
আমি একাকী ভেসে যাই
তবু আমি হাতড়ে বেড়াই
লালনীল স্বপ্নগুলো।

ঈশ্বরের প্রতি

ঈশ্বরের প্রতি
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম

হে ঈশ্বর ভগবান
আর কত কারণ
ঘটবে আর রটবে
আমার তবে স্থান কোথা
এই মিছে হেথা
তোমার বা কাজ কি ?
শুধুই দেখা !
আর মিছে বাক্যবান
বসে বসে ভাবি
দেয়ালে পিঠ ঠেকা
আর কান্নার প্রলাপ বকা
তুমিও এমন !
দেখছো কি কারন
সব তোমার জন্য
এই জীবন ধন্য !

শুক্রবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

আচ্ছা বলো তো

আচ্ছা বলো তো
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
৬/০২/২০১৫

আচ্ছা বলো তো আমি কি এমন !
আমি কি খুব..
জানি বলবেনা
কিছুই আর বাকি থাকলনা
সবটাই মিছে ইতিহাস।
মিছে ভাললাগার গল্প বলা
মিছে কাল্পনিক কিছু মুহূর্ত
মিছে ভাললাগার সব মিশেল
ভালবাসি
ভালবাসি বলতেও আজ ভয় হয়।

life

Life is like a film and Life is not like a film

বেচেঁ উঠি

বেচেঁ উঠি
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম


মনে পড়ে মাঝ দরিয়ায় সাতরানোর চেষ্টায় অবিরত
ঢেউয়ের দোলায় হতবাক হওয়া
ডুবে ডুবে একমুঠো পানি খাওয়া্
তবুও ভালো লাগে ভেসে থাকতে
করজোড়ে অনুরোধ আমার হাতটি ধরো
আমাকে টেনে তোলো
আরো কিছুক্ষন ভেসে থাকি
আরো কিছুক্ষন শ্বাস নিই
আমি বেঁচে উঠি
আমার বেঁচে থাকার স্বপ্নটাকে জিইয়ে রাখো
জিইয়ে রাখো

অনুভূতি

মানুষ তার সব অনুভুতি প্রকাশ করতে পারেনা। মানুষের মনে জন্ম নেওয়া অনুভূতি হয়তো সবসময় প্রকাশ করা যায়না। শিল্প এখনো নিরুপায়। শিল্পের ভাষা বদলে যায়, প্রকাশভঙ্গি বদলে যায়। কিন্তু কিছু বিষয় সেই একই। আদি থেকে বর্তমান । শিল্পের অনেক মাধ্যম। সব মাধ্যমে কিছু সীমাবদ্ধতা বিদ্যমান। এই সীমাবদ্ধতা ব্যক্তির নাকি শিল্পের ?

জীবন মানে

জীবনের একটা উদ্দেশ্য খুঁজে পেলাম .. জীবনের মানে খুঁজে বের করা

জীবন

মানুষের জীবনে অনেক কথা থাকে কিন্তু বাক্য থাকেনা। সব যেন বিমূর্ততে পৌছাতে চায়

মন মোর মেঘের সঙ্গী: what is cinema ?

মন মোর মেঘের সঙ্গী: what is cinema ?: Cinema is not only for entertainment. Its reflection of life. Its more than life...

what is cinema ?

Cinema is not only for entertainment. Its reflection of life. Its more than life...

বৃহস্পতিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৫

শিরোনামহীন

ছোট ছোট নক্ষত্রের মাঝে তারারা ধপ করে নিভে যায়। আলো এসে আলো ফিরে যায়। সেকেন্ডের ভগ্নাংশে সবকিছু দূরে মিলিয়ে যায়। আমি কূলের দিকে অবাক চোখে তাকিযে থাকি। মরিচিকা আমাকে বারবার প্রলুব্ধ করে। আমি কাঁদি, আবারো কাঁদি। এ কান্নার কোন শব্দ নেই। আছে নি:শব্দ নিস্তব্ধতা। আছে নি:শব্দ আর্ত চিৎকার। আছে সংখ্যাগণণা ১..২..৩..।
কেবলই মিছে স্বপ্ন। আরও একটি নক্ষত্রের মুত্যু। হয়ত মুত্যু নয় অন্য কোথাও তার পদচারণা। তবে একসাথে পথচলা নয়।
সাময়িক পথচলা কিছুটা শক্তি দেয়। কিন্তু পথকে নির্দেশ করে প্রবল শক্তির দিকে ধাবিত করার আগেই ধুমকেতু হয়ে প্রবল আঘাতে সবকিছু নিশ্চিহৃ হয়ে যায়।
ভালো হোক পৃথিবীর পথচলা।
শিল্পের, আমাদের।
আমরা ভালো ভাবে বেঁচে উঠি, নতুন স্বপ্ন দেখি আর স্পর্শ করি প্রতিদিন নতুন গন্ধ এই শভকামনা রইলো।

সোমবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৫

ডায়রির পাতা 2004

ডায়রির পাতা
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
২০০৪
আমি পথ চলতে চলতে কখনো বুঝতে পারিনি আমি কিভাবে চলছি। অথচ আমি চলেছি উল্টো হয়ে উল্টো পথে। পথ চলতে চলতে যখন অনেকখানি সময় পেরিয়ে এলাম তখন বুঝলাম হায়! আমি একি করলাম এতটা পথ উল্টো হয়ে উল্টো পথে চললাম। আমি উল্টো হয়ে চলার কারনে বুঝতে পারিনি আমার পথ এইটি নয়। আমারতো এখন ফেরার পথ নেই। আমি পারছিনা ঠিক বিন্দুতে গিয়ে ফিরে যেতে যেখান হতে শুরু করেছিলাম সেখান হতে নতুন একটি পথের সন্ধানে। ঈশ্বরের কাছে আমার চিরন্তন ক্ষোভ রয়ে গেল ঈশ্বর কেন আমায় দিকভ্রান্ত করে দিলেন। আমায় কেন তিনি সোজা, সুন্দর পথটি দেখালেননা। আমি চলেছি আমার মত উল্টো হয়ে উল্টো পথে। আমার ঠিক এখানে আসার কথা ছিলনা। কোনো প্রয়োজন বোধ হয় ছিলনা। কিভাবে যেন ভুল করে ভুল পথে চলে এলাম। ঈশ্বর এখানে আগেই একজনকে পাঠিয়েছেন তবে আমায় কেন পাঠালেন। শূণ্যতা যেখানে পূরণ হল সেখানে নতুন করে আমায় কেন পাঠানো হল। নতুন  পানি যেমন পূর্ণ পাত্রে দেওয়া হয় পানিগুলো উপচে পড়ে আমিও ঠিক তেমনি উপচে পড়লাম। মাটির সাথে মিশে যেতে থাকলাম। কিন্তু আমিতো কখনো এমনটি চায়নি। পূর্ণতায় যারা তারা উড়ছে আকাশে! আনন্দে! উদ্বেলিত আর বাকিরা ? তারা নিচে মাটির সাথে লুটোপুটি করছে। তারা জানেনা কেন তারা ? কি হবে ? কোথায় যাবো ? দিকভ্রান্তের মত কিছু অসংলগ্ন প্রশ্ন আমাকে বিদ্ধ করে । আমার কষ্টমাখা হৃদয়ে চাপা ক্রন্দন কেঁপে উঠে।
ঈশ্বর উপর থেকে সব দেখছে আর জয়-পরাজয়ের উর্দ্ধে কুটিল হাসি হাসছে। কেন তিনি এমন করে মজা পান। প্রশ্নটি হাওয়ায় ভাসিয়ে দিলাম... মহাকাশের শূণ্যতার মাঝে লুকিয়ে থাকা এক অসীম শক্তিকে উদ্দেশ্য করে।

রবিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৫

আমি দেখেছি তোমায়

আমি দেখেছি তোমায়
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম

আমি দেখেছি তোমায় স্বপ্নে, বাস্তবতায়
আমি দেখেছি তোমায় আলো আঁধারে নীরবতায়
আমি দেখেছি তোমায় কালে ভদ্রে অচেনা জায়গায়
আমি দেখেছি তোমায় অনুভবে শিহরনে মাঝ দরিয়ায়
আমি দেখেছি তোমায় আকাশের নীল সীমানায়
আমি দেখেছি তোমায় আয়নায় লক্ষ্যভেদ করে ছুটে চলেছো অজানা মায়ায়।
আমি দেখেছি তোমায় দূর পাহাড়ের চূড়ায়
আমি দেখেছি তোমায় আকাশে মেঘের লুকোচুরি খেলায়
আমি দেখেছি তোমায় নদীর স্বচ্ছ জলে, সরোবরে নতুন সূর্যোদয়।
আমি দেখেছি তোমায় শিশির দুবঘাসে সজীবতায়
আমি দেখেছি তোমায় হলুদ আলোয় স্বপ্নময় আভায়
আমি দেখেছি তোমায় গোধুলির শেষ আলোয় ডানা মেলে উড়ছো হাওয়ায়।
আমি দেখেছি তোমায় রাত্রির নি:স্তব্ধতায় চাঁদের পূর্ণিমায়
আমি দেখেছি তোমায় ভোরের  বাতাসে শিহরন দোলায়
আমি দেখেছি তোমায় সকালের সূর্যালোকে লুকোচুরি খেলায়
আমি দেখেছি তোমায় কর্মব্যস্ততায়, হঠাৎ চমকানো আলোয়
আমি দেখেছি তোমায় ইটের দেয়ালে কংক্রীটের বাঁধনে
আমি দেখেছি তোমায় গাছের ছায়ায়, বাঁশি বাজছে বাজছে সানাই।
আমি দেখেছি তোমায় হলুদ ফুল মিষ্টি ভুল, হাওয়ায় বুলবুল
আমি দেখেছি তোমায় সমুদ্রের ঢেউয়ে ভাসছো, ভাসছো আর ভাসছো
আমি দেখেছি তোমায় তপ্ত রোদে আলোকছটায়
আমি দেখেছি তোমায় লাল নীল স্বপ্নে বিমূর্ত ভালবাসায়।

মঙ্গলবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৫

ঈশ্বরের আলো

ঈশ্বরের আলো
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
২৫/১২/২০০৭

আজ বড়দিন
খৃষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন
ঝিনুক বাতির আলোকছটায় রাঙানো গীর্জার চারপাশ
রোদ এসে ঠিকরে পড়ছে
বাতাসে দোল খেয়ে ঝিনুক বাতিগুলো চিকচিক করে উঠে।
স্বয়ং ঈশ্বর যেন আজ নেমে আসবেন মর্ত্যে
ঐ গীর্জার চূড়া দিয়ে তিনি নামবেন
এক অপার্থিব আলোয় আলোকিত হবে চারপাশ।
আলোর ধর্ম মতে তার প্রথম কাজ আলোকিত করা
আর অন্ধকারকে দূরীভিত করা
ঈশ্বর নেমেই পৃথিবীকে শুধু আলোকিত করবেননা
রাঙিয়ে তুলবেন সবকিছু শান্তির পরশে
পবিত্রতায় ভরে উঠবে আজকের পৃথিবী।
পামগাছগুলো যেন ঝিনুক বাতির আনন্দে আনন্দিত
তার লতাগুল্মগুলো নেমে আসছে নীচের দিকে
যেন অন্যরকম এক ঝিনুক বাতি।
ঘুলঘুলির ছোট্ট আলোয়
দেয়ালটায় বৈচিত্র্য আনছে
মনে হয় যেন সুন্দর টেক্সচার,
সবকিছু সুন্দরে রুপান্তরিত হোক।

ছেলেবেলা

ছেলেবেলা
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
২৪/১২/২০০৭


প্লাটফরমের ওপাশটায় হেঁটে চলেছি
বহুদিন হাঁটা হয়না এ পাশে
সেই যখন স্কুলে পড়ি
কতদিন হেঁটে বাসায় ফিরতাম
প্লাটফরমে এসে বাতাসের গন্ধ নিতাম,
কখনোবা বাসে ফিরতাম
ওভারব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে
দূরপানে চেয়ে থাকতাম
হেঁটে যখন ফিরতাম তখন তৃপ্তির মায়ায় জড়িয়ে পড়তাম
দু এক টাকা, পাঁচ টাকা ইত্যাদি করে জমিয়ে রাখতাম
তৃপ্তিকে পাওয়ার জন্য
এখন তৃপ্তি নেই তার জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে নতুন কেউ
কিন্তু সেই তৃপ্তিটুকু কি আর আছে
আমার ছেলেবেলার তৃপ্তি
এখনো খুঁজে ফিরি।

সোমবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৫

টিকেটের জন্য অপেক্ষা

টিকেটের জন্য অপেক্ষা
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
২৪/ ১২/ ২০০৭
টিকেটের জন্য অপেক্ষায় বসে আছি
কখন আসবে টিকেট
সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা পেরিয়ে গেল
তবু টিকেট আসছেনা
আমি ঠিক ডুবে যেতে বসেছি কবিতার মাঝে
অনেকক্ষণ অপেক্ষা,
কিছু কবিতার এলোমেলো রেখা
হঠাৎ মাঝবয়সী একজন এসে বললেন
ঠিক বললেননা যেন বুঝতে পেরেছিলেন
আমিই টিকেটের জন্য অপেক্ষায় বসে আছি
হাত বাড়িয়ে দিলেন
টিকেট হাতে পেয়ে দেখলাম এখনো অনেক সময় বাকী
ঠিক গুছিয়ে নেবার।
এমনি করে যদি পৃথিবী হতে গন্তব্যে ফিরে যাওয়ার টিকেট পেতাম
কেউ এসে আমায় বলতো এই নাও
স্রষ্টার কাছে যাওয়ার টিকেট
তোমার হাতে অনেক সময়
গুছিয়ে তৈরী হয়ে নাও।
আমি আমার হাতের সবখানি কাজ গুছিয়ে নিতাম
সকলের কাছে হাসিমুখে বিদায় নিয়ে বলতাম-
তোমরা সকলেই ভালো থেকো।

স্বপ্নডানা

স্বপ্নডানা
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
২৪/১২/২০০৭

কবিতারা সব ঘুরে বেড়ায়
আকাশের প্রান্তে
হাত বাড়িয়ে ছুঁতে চায়।
মন বলে  মিস্টি রোদ,
শিশির কণা হারায়,
আমি বলি ভালবাসা
বেচেঁ উঠি তার ছায়ায়
তবুও-
কিছুতে কিছু হয়না
ভালবাসাও পূর্ণতা পায়না
দূর থেকে তাকিয়ে দেখি
কালো কাক, রোদের মায়ায়
সাদা আলোর ঝিলিক দিয়ে যায়।
আমি সুন্দর রোদ উপভোগ করি
বাতাসে মৃদু দোল দিয়ে যায়,
পাখিরাও ডানা ঝাপটিয়ে হেসে বেড়াই
আমি শুধু-
ডানা হোক স্বপ্ন
ভেসে বেড়াই।

রবিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১৫

মোটেল এবং আমি

মোটেল এবং আমি
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
২৪/১২/২০০৭

মোটেলের শূণ্য পরিসরে তাকিয়ে থাকা
নতুন ভবনের অপেক্ষায় শূণ্য পরিসর
কলাগাছের পাতারা মৃদু দোলে
নৈ:শব্দ ছাপিয়ে কখনো কখনো
পাখিরা ডেকে উঠে।
মাঝেমাঝে রিকশার টুং টাং শব্দ
যাত্রীকে নিয়ে সময়ের পথে চলা
আমি অপেক্ষায় থাকি ছোট্ট একটি টিকেটের জন্য
চলার জন্য অপেক্ষা যেন আমাদের সারাটা জীবন।

আমি

আমি
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
৩১/০৭/২০০৮

এই জীবনে মন যে কতবার আকুপাকু করলো
কেউ জানেনা
কখন কিভাবে
ঠিক আমিও না
মাঝে মাঝে মনে হয় আমি যেন আমি নই যেন অন্য কোথাও
অজানা কোনখানে
বাস করছি সন্তর্পনে,
আমার দেহের মত আমার মন
যাকে ভাবি- আমি, আমার সত্ত্বা
অথচ
সেই আমিও যেন নিয়ন্ত্রিত কোন বস্তু
অদৃশ্য আলোকে শূণ্য এক
হায়!

বুধবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৫

৭১ দেখেনি কিন্তু কেন যেন অনুভব করছি

৭১ দেখেনি কিন্তু কেন যেন অনুভব করছি
ফরহাদ ইদ্দিন মাসুম

গত ৪/১/২০১৫ চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসছিলাম। টিকেট পেতে যথারীতি বেগ পেতে হলো। টিভিতে স্ত্রল আসছে ঢাকার সাথে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ। আমার যাওয়া জরুরি। ৫ জানুয়ারির সমাবেশের কারনে সব কিছু থমকে দেওয়া হলো। যদি টানা অবরোধ কিংবা হরতাল দিয়ে দেয় আমি আটকা পড়ে যাবো। সুতরাং ট্রেন ভরসা। সোনার হরিণ ট্রেনের টিকেটের জন্য অপেক্ষা। আমার মত অনেকেই ট্রেনের টিকেটের জন্য ভিড় করলো। ট্রেনের টিকেট পাওয়া হলোনা। এক বন্ধুকে বারবার ফোন করছি বাস ছাড়বে কিনা জানানোর জন্য। সেও আমার মত অসহায় হয়ে পড়েছে আগেই টিকেট কিনেছে কিন্তু গাড়ি ছাড়বে কিনা বাস কাউন্টার জানাতে পারছেনা। অবশেষে বাস কাউন্টার জানালো গাড়ি ছাড়বে তবে রাত ৯ টায় যেখানে গাড়ি ছাড়ার কথা ১১ টার পর। ১২ টার পর গাড়ি ছাড়লে সকালে ঢাকায় প্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়বে তাই আগেই বাস ছাড়ছে। তাই দেরি না করে বাসের টিকেটের জন্য গেলাম। সেখানেও ভিড় তবে টিকেট কেনার জন্য নয় ফেরত দেওয়ার জন্য। সবাই জিগ্যেস করছে ভাই গাড়ী ছাড়বে ?  কিছুটা স্বস্তি পেলাম গাড়ী ছাড়বে। বাসের টিকেট কিনলামনা কারন বুঝলাম বেশিরভাগ লোক টিকেট ফেরত দিতে চাইছে নিরাপত্তার ভয়ে। আমার আগে থেকে টিকেট কিনতে ভয় করে যদি গাড়ী ধরতে না পারি। চলে যাচ্ছিলাম তারপর একটু ভয় পেলাম যদি গাড়ী কমিয়ে ফেলে। তাহলেতো টিকেট পাবনা। তাই বাসের টিকেট কিনে ফেললাম। পরিবারের সবাই আতংকিত এই পরিস্থিতিতে যাতায়াত করতে চাইছি। কিন্তু জীবনতো থেমে রাখা যায়না। কর্মক্ষেত্রে ফিরতেই হয়।

কাউন্টারে অনেক আগেই চলে আসলাম যদি গাড়ি আগে ছেড়ে দেয় সেই ভয়ে। আমার নির্দিষ্ট যাত্রার আগে যে বাস ছাড়ছে তার লোক আসেনি তাই আমাকে টিকেট পরিবর্তন করার কথা বললো। আগের গাড়িতে চলে যেতে বললো। কিছুটা সন্দিহান হয়ে পড়লাম। আমার মতো কিছু মানুষ তবু গাড়িতে উঠছে। বাস কন্ট্রাকটার বাসের জানালা বন্ধ করে দিল গন্ডগোলের আশংকায়। কেউ কেউ সম্মতি জানালো। আমার জানালা বন্ধ রাখতে অস্বস্তি হয় তবুও মেনে নিলাম। কেউ কেউ খোলা রাখছিলো গরম এবং দম বন্ধ করা পরিবেশের কারনে। কন্ট্রাকটার কঠিন হয়ে গেল ককটেল, পেট্রোল বোমা, ইট ইত্যাদির কারনে। জোর করে জানালা বন্ধ করে পর্দা টেনে দিল যেন কিছুর আঘাতে গ্লাস ভেঙ্গে সরাসরি গায়ে না পড়ে। সবাই বেশ আতংকিত। কন্ট্রাকটারের আচরনে আতংক আবারো ছড়িয়ে পড়লো। ৭১ দেখেনি কিন্তু কেন যেন অনুভব করছি। সেই সময় হানাদারদের ভয়ে মানুষ যাতায়াত করতে ভয় পেত। মুক্তিবাহিনী সন্দেহে সাধারন মানুষকে হত্যা করতো বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।

তবে এখন হানাদার কারা ! এখন কিসের ভয় !

সময় বদলেছে সমাজ ব্যবস্থা বদলেছে কিন্তু সেই আতংক এখনো রয়ে গেছে। সাধারন মানুষ এখনো স্বাধীনভাবে যাতায়াত করছে পারছেনা। কেন এই ভয় ! স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে আমাকে কেন হরতাল, অবরোধ ইত্যাদির দোহাই দিয়ে আমার স্বাভাবিক জীবনপ্রবাহকে থমকে দিবে ? তাদেরকে এই অধিকার কে দিয়েছে ? গনতন্ত্রের দোহাই দিয়ে তারা যা খুশি তাই করছে। একদল গনতন্ত্র উদ্ধারের নাম করে সাফল্যের বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে অন্যদল গনতন্ত্রের মৃত্যুবার্তা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। একদল সমাবেশ করতে চাইছে অন্যদল সমাবেশ ভন্ডুল করতে চাইছে।

এতে সাধারন মানুষের কি লাভ হচ্ছে। তারা কোন সত্যিটা উপলব্ধি করছে। কিংবা তাদের কোন তথ্যটা দেওয়া হচ্ছে। সেটাকি সত্যি ? রাজনৈতিক দলগুলো তাদের সুবিধামত গালভরা গল্প আমাদের জানাচ্ছে। আমাদের জীবন, সময়ের মূল্য তাদের কাছে নেই। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো আদৌ জানে “গনতন্ত্র কি” ?

রাজতন্ত্র, এককতন্ত্র, দলতন্ত্রের ভূত থেকে আমরা কবে রক্ষা পাবো ? কবে সত্যিকারের গনতন্ত্র আসবে ?