রবিবার, ১০ মে, ২০২০

jibon mane gurho darshonik rohosho, protiniyoto er pata porte porte somoy chole jai

#HIgh_Hopes

#HIgh_Hopes
#Pink_Floyd
#Translation #bangla_translation
উচ্চ আশা
আমরা যখন তরুণ ছিলাম সেই জায়গাটির দিগন্ত ছাড়িয়ে
চুম্বক ও অলৌকিক এক জগতে
আমাদের চিন্তা ক্রমাগত সীমানা ছাড়িয়ে বিপদসীমা অতিক্রম করত
বিভাগের ঘন্টা বাজতে শুরু করেছিল
লং রোড বরাবর ও কৌসেওয়ে নিচে
তারা কি এখনও সেখানে কাট দ্বারা দেখা করে
সেখানে একটি র‌্যাগড ব্যান্ড ছিল যারা আমাদের পদক্ষেপ অনুসরণ করেছিল
সময়ের আগেই দৌড়াতে আমাদের স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছিল
অগনিত ছোট প্রাণী ছেড়ে আমাদের মাটিতে বেঁধে রাখার চেষ্টা করেছিল
ধীর ক্ষয়ের মাধ্যমে জীবন গ্রাস
ঘাস ছিল সবুজ
আলো ছিল আরো উজ্জ্বল
যখন বন্ধুরা ঘিরে থাকে
বিস্ময়ের রাত
আমাদের পেছনে ঝলমলে সেতুর জ্বলন্ত আলো বাইরে তাকিয়ে
এটি অন্য দিকে কতটা সবুজ ছিল, তার এক ঝলক
পদক্ষেপ এগিয়ে নেওয়া হলেও আবার ঘুম পিছু হটিয়ে দিচ্ছে
ভেতরের কিছু শক্তি জোর করে টেনে নিয়ে যাচ্ছে
পতাকা উত্তোলনের সঙ্গে বেশি উচ্চতায়
আমরা অবাক হয়ে সেই স্বপ্নের পৃথিবীতে মাথা উঁচু করে পৌঁছলাম
ইচ্ছা ও উচ্চাকাঙ্খা দ্বারা চিরতরে বিজড়িত
একটা ক্ষুধা এখনো অটুট আছে
আমাদের ক্লান্ত চোখে এখনও দিগন্ত বিপথগামী
যদিও এই রাস্তা দিয়ে আমরা অনেক বার এসেছি
ঘাস ছিল সবুজ
আলো ছিল উজ্জ্বলতর
স্বাদ ছিল মিষ্টি
বিস্ময়ের রাত
বন্ধুদের সঙ্গে ঘিরে
ভোরের কুয়াশা ঝলমলে
পানি বয়ে চলেছে
অন্তহীন নদী
চিরদিনের জন্য


সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৯

Wish You Were Here-Pink Floyd


Wish You Were Here
Pink Floyd
Bangla translation

তুমি যদি এখানে থাকতে
পিংক ফ্লয়েড

তো, তাহলে তুমি মনে কর তুমি বলতে পারো
জাহান্নাম থেকে স্বর্গ
ব্যাথা থেকে নীল আকাশ
তুমি কি বলতে পারো একটি সবুজ মাঠ
একটি ঠান্ডা ইস্পাত রেল থেকে?
ঘোমটা থেকে একটি হাসি?
তুমি কি বলতে পারো?
তারা কি তোমাকে লেনদেন করতে দিয়েছিল
ভূতদের জন্য তোমার নায়ককে?
গাছের জন্য গরম ছাই?
একটি শীতল হাওয়ার জন্য গরম বাতাস?
পরিবর্তনের জন্য আরামদায়ক ঠান্ডা?
তুমি কি বিনিময় করেছো
য়ুদ্ধের মধ্যে অংশ নিয়ে হাঁটার
খাঁচার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য?
আমি কিভাবে....
#Wish_You_Were_Here
#Pink_Floyd

Another Brick in the Wall Pink Floyd


Another Brick in the Wall Pink Floyd
Bangla translation
আমাদের শিক্ষার কোনো প্রয়োজন নেই।
আমাদের চিন্তা নিয়ন্ত্রনের দরকার নেই।
শ্রেণীকক্ষে কোনো ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করা যাবে না
শিক্ষক, শিশুদের একা ছেড়ে দাও
হে শিক্ষক, বাচ্চাদের একা থাকতে দাও
মোটের উপর এটা শুধু দেওয়াল অন্য ইটের 
মোটের উপর এটা শুধু দেওয়াল অন্য ইটের 
আমাদের শিক্ষার কোনো প্রয়োজন নেই।
আমাদের চিন্তা নিয়ন্ত্রনের দরকার নেই।
শ্রেণীকক্ষে কোনো ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করা যাবে না
শিক্ষক, শিশুদের একা ছেড়ে দাও
হে শিক্ষক, বাচ্চাদের একা থাকতে দাও
মোটের উপর এটা শুধু দেওয়াল অন্য ইটের 
মোটের উপর এটা শুধু দেওয়াল অন্য ইটের
“ভুল, আবার করো! ভুল, আবার করো ”
তুমি যদি ইয়ের মাংস না খেয়ে থাকো তবে তুমি পুডিং পাবে না
তুমি কিভাবে পুডিং পেতে পারো  যদি তুমি  ইয়ের মাংস না খাও?
তুমি, হ্যা, তুমি কি সাইকেলের পিছনে এখনো দাঁড়ানো সেই তরুণী

শনিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

মন মোর মেঘের সঙ্গী: জীবন অনুভবে২.২.২০১৯ফরহাদ উদ্দিন মাসুমশব্দেরা খ...

মন মোর মেঘের সঙ্গী: জীবন অনুভবে
২.২.২০১৯
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম

শব্দেরা খ...
: জীবন অনুভবে ২.২.২০১৯ ফরহাদ উদ্দিন মাসুম শব্দেরা খেলা করে বিমূর্ত সুরের দ্যেতনায়। শব্দ ধরা দেয়না নাকি সুর ধরা দেয়না। জীবন বয়ে চলে- বহমান...

জীবন অনুভবে

জীবন অনুভবে
২.২.২০১৯
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম

শব্দেরা খেলা করে বিমূর্ত সুরের দ্যেতনায়। শব্দ ধরা দেয়না নাকি সুর ধরা দেয়না। জীবন বয়ে চলে- বহমান নদীর মতো, নাকি জীবনের মতো! আমি বসে ভাবি- কোনো দূর অজানায়। দূর পাহাড় থেকে ভেসে আসা সানটুরের সুর আমাকে কোনো এক মায়াজালে আবদ্ধ করে দেয়। জীবন এক মোহময় মায়াজাল। ছিন্ন করা খুব কঠিন। যে জীবন যাপন করি আমরা তা যেন অদৃশ্য সুতোয় কোনো এক আজব সুরে বাঁধা। তা যেন সারেগামার সাত সুরে আবদ্ধ নয়। মেজর, মাইনর নোটেশন এর বাইরেও আরো কিছু কথা থাকে। সব কথা ভাবতে ভাবতে মনে হয় জীবনটাই বুঝি মাইনর...

শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৮

বাংলা নববর্


হাজার বছর বাঙ্গালির ইতিহাস। রাজতন্ত্রের ভয়াল সময় পেরিয়ে আজ বাঙালি অন্য এক সময়ে এসে পড়েছে। বিদেশি শাসক- মোঘল, ব্রিটিশ উপনিবেশ, পাকিস্থান শাসন তারপর মুক্তির সংগ্রাম। তারপর যুদ্ধাত্তর পরবর্তী অস্থিরতা , সেনা ক্যু, স্বৈরাচার শাসন, গণতন্ত্র নামক রসিকতা, ভোটের রাজনীতি কিছুই বাঙ্গালির রক্ত ত্যাগ ছাড়া হয়নি। বাঙ্গালির জন্মই হয়েছে যেন প্রতিবাদ করার জন্য আর গুলি খেয়ে মরার জন্য। প্রতিটি সময়ে বাংলায় জন্ম হয়েছে কিছু সাহসী সূর্য পুরুষের- সূর্য সেন, ৭ বীর শ্রেষ্ঠ, তাজ উদ্দিন, কর্নেল তাহের, সিরাজ সিকদার, বীর বিক্রম, বীর প্রতীক, সেক্টর কমান্ডার, নজ্রুল, রবীন্দ্রনাথ, জয়নুল, কাম্রুল, সুলতানসহ আরো অনেকে। কিছু বাতিক্রম অবশ্যই  আছে- যারা শুধু মমতাময়ী মা নন, লালন করেছেন, পালন করেছেন প্রান দিয়েছেন, সাহস জুগিয়েছেন  অনেক মানুষকে- প্রীতিলতা, বেগম রোকেয়া, জাহানারা ইমাম এই রকম আরো অনেক। কিছু বিশ্বাসঘাতক বরাবরই বাঙ্গালিকে পিছিয়ে দিয়েছে। ইতিহাস যার নাম দিয়েছে মীর জাফর, রাজাকার, আলবদর, আলশামস। তবুও বাঙালি সাহস করে বলেছে- ‘ভাত দে হারামজাদা নইলে মান চিত্র খাবো’। জয় বাংলা যেন বাঙ্গালিকে সাহস জুগিয়েছে, প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছে, ভুমি দিয়েছে, দেশ দিয়েছে। যে দেশে শুধু বাঙালি নয় বাস করে অনেক ভিন্ন ভিন্ন জাতিসত্তা। চাকমা , মারমা, মুরং, গারো, মনিপুরি, ত্রিপুরা, তন্চংগ্যা, রাখাইন ইত্যাদি। ধর্ম, বর্ণ, ভাষা,   সংস্কৃতির বৈচিত্র্য কি নেই বাংলাদেশে। প্রায় প্রতি ১২ কিলোমিটার পর পর ভাষার বৈচিত্র্য দেখতে পাই আমরা। ইতিহাসের সাথে সাথে বাঙালি জনপথের নাম বদলে যায়। আমরা পায় প্রাণের বাংলাদেশ। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।
বাঙালি প্রতিবাদ করে, প্রাণ দেয় আবার ভুলে যায় কেন প্রতিবাদ করেছিল। বাঙ্গালির এমন রহস্যময় চরিত্র উপলব্ধি করেছেন হুমায়ন আজাদ। যাকে ইতিহাসের সেই বিশ্বাস ঘাতক্ রা হত্যা করেছিল। যুগে যুগে তবুও জন্ম নেয় বাঙ্গালির ঘরে এমন মানুষ- যারা মানুষের কথা হলে। বাঙালি এই নামটি যেন রক্ত দিয়ে লেখা। শোষণ, বঞ্চনা ইত্যাদির পরও বাঙালি ঘুরে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু বাঙ্গালি মেয়েরা বড্ড ন্যাকা। তারা যেন ঘর সংসার ছাড়া কিছুই বুঝেনা। একটুকরো ভাত কাপড় পেলে তাতেই খুশি হোকনা তাতে তরকারি বাসি। তারপরও বাঙ্গালির ঘরে কেমন করে যেন কিছু সাহসী মেয়ের জন্ম হয়। আমাকে নতুন করে ভাবতে শেখায়। আমাকে শেখায় তোমরা পুরুষরা যা পরোনা আমরা মেয়েরা তা পারি। সেটা শুধু সমতলে নয় পিছিয়ে থাকা পাহাড়ি নারীটিও বেশ সাহসী। মা যেমন সন্তান কে পৃথিবী কি শেখায় তেমনি নারী আমাকে শেখালো কিভাবে নিজের হিসেব বুঝে নিতে হয়। কিভাবে প্রতিবাদ করতে হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনার পাঠ গুটালাম সেই অনেক বছর আগেই। যখন ছাত্রদল রাজত্ব করতো তখন আমি প্রতিবাদ করতে শিখিনি। শুধু হুমায়ুন আজাদ স্যারের বিচার চেয়েছিলাম। তখনি বুঝেছিলাম এই জল্লাদের দেশ আমারনা। যখন ছাত্র লীগের ছেলেরা আমাকে এসে বলে চাপাতি দিয়ে আমাকে টুকরো টুকরো করে ফেলবে তখনও আমি প্রতিবাদ করতে শিখিনি। যখন ছাত্রলীগের ছেলেরা আমাকে আমার প্রাণের জায়গা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই চারুকলা থেকে আমাকে বের করে দেয় তখনও আমি প্রতিবাদ করতে শিখিনি। আমাকে প্রতিবাদ শেখালো কবি সুফিয়া কামাল হলের সেই সাহসী নারীরা। কবি সুফিয়া কামাল নামটির কারনে কি তারা প্রতিবাদ কি জিনিস শিখে ফেলেছিল ? ইতিহাস কথা বলে। যা পুরুষরা পারেনি তা নারী করে দেখালো। কবি নজ্রুল বলেছিলেন- ‘পৃথিবীর যা কিছু কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর’। কথাটার মানে বোধ হয় বুঝতাম না। মনের মধ্যে সবসময় খটকা লাগতো আমাদের ৭ বীরশ্রেষ্ঠ সবাই পুরুষ। নারীর কি খুব সাহসী অবদান ছিলনা !
আজকের সুফিয়া কামাল হলের মেয়েরা শুধু একজন হল সভাপতিকে জুতার মালা পরায় নি  তারা যেন সেই হাজার বছরের পুরুষ তান্ত্রিকতার ভয়াবহ নির্যাতনকে রুখে দিয়েছে। যারা যুগ যুগ ধরে এই বাংলাকে শোসিত করেছে, বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে বাংলার মানুষের সাথে। এই জুতার মালা মীর জাফরের গলায় শোভা পেল। এশা সেখানে একটি নাম মাত্র। এই জুতার মালা বস্তুত শাসকের গলায় শোভা পেল। যারা হাজার বছর বাঙ্গালির সাথে প্রবঞ্চনা করেছে। নারী তোমাকে সালাম। জাগো নারী জাগো, তোমরাই আমাদের এগিয়ে নেবে।
শামসুল হক এর মত বলতে ইচ্ছে হয়- ‘জাগো বাহে কোনটে সবাই’।
সকল নারী এবং পুরুষকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা। কোটি কোটি বছর বেঁচে থাকুক এই বাংলা জনপথ, এই বাংলাদেশ।
ফরহাদ উদ্দিন মাসুম
১ বৈশাখ ১৪২৫